তারেক জিয়াকে দেশে এনে বিচার করবো : শেখ হাসিনা

Slider রাজনীতি


ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করবো তারেক জিয়াকে ফেরত পাঠাতে বলবো। এদেশে নিয়ে এসে ওর সাজা বাস্তবায়ন করবো বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে উদ্দেশ্য করে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির অপকর্মের জন্য এমার্জেন্সি আসলো। আর মুচলেকা দিয়ে বিদেশে পালিয়ে গেল। এত সাহস থাকলে দেশে ফিরে আসলো না কেন? অথচ আমাকে দেশে আসতে দেবে না। আমি যাবো মামলার মুখোমুখি হবো কোর্টে দাঁড়াবো। এক প্রকার যুদ্ধ করেই দেশে আসি।

বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে নগর ও সহযোগী সংগঠনের যৌথ সভায় গণভবন থেকে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ সভাপতি হওয়ার পর দেশে ফিরে আসার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওর (তারেক রহমান) বাপও তো ঠেকাতে পারিনি। আমি দশে ফিরে এসেছি।

তিনি বলেন, রাজনীতি করার সখ, বাইরে পালাতে থাকে কেন। আওয়ামী লীগ উৎখাত করবে। আওয়ামী লীগ ভেসে আসেনি। আওয়ামী লীগ বিএনপির মতো পকেট মধ্যে সৃষ্টি হওয়া দল না এটা মনে রাখতে হবে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আরও বলেন, বহু মার খেয়েছি। আর নয়, যে হাত মারতে আসবে সে হাত ভেঙে দিতে হবে। যে হাত আগুন দিতে আসবে সে হাত সেই আগুনে দিতে হবে। আর সহ্য করা হবে না। আমাদের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে।

আওয়ামী লীগ কখনো জনগণের ভোট চুরি করেনি বরং জনগণের ভোট সংরক্ষণ করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বচনে বিএনপি ভোট চুরি করেছিল বলে খালেদা জিয়া পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়। আমরা ১৪ বছরে এতো উন্নতি করতে পারলে ২১ বছর যারা ক্ষমতায় ছিল তারা করতে পারলো না কেন।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ প্রতিহিংসার রাজনীতি করে না। কিন্তু ৬ বছর থেকে ৬০ বছরের বৃদ্ধ কেউ রক্ষা পায়নি। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর গুনে গুনে তার জবাব দিতে পরতাম। সেই ক্ষমতা আওয়ামী লীগের আছে। কিন্তু আমরা তা করিনি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ড. হাছান মাহমুদ, আফম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, সাখাওয়াত হোসেন শফিক, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুস সবুর, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক জাহানারা বেগম সহকেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা। এছাড়া এই যৌথ সভায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর সভাপতি আবু হানিফ মন্নাফি, মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস। সভায় সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *