‘প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে ছাত্র রাজনীতি থাকা উচিত নয়’

Slider শিক্ষা

Rangamati

খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার বলেছেন, আমি মনে করি প্রাথমিক ও মাধ্যমকি বিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি থাকা উচিত নয়। আর আপনারাও কোন রাজনৈতিক কর্মীকে তৈরি করার জন্য শিক্ষকতা করবেন না। শিক্ষকতা করবেন ভালো ও সৎ মানুষ গড়ে তোলারা জন্য।

শনিবার (২৬ নভেম্বর) সকালে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউট সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় দীপংকর তালুকদার আরও বলেন, পুজনীয় বনভান্তে বলেছিলেন, রাঙামাটিতে মেডিকেল কলেজ হবে। এটা বলার অনেক বছর পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাঙামাটিতে মেডিকেল কলেজ দিয়েছেন। কিন্তু একটি গোষ্ঠি এই কলেজ উদ্বোধন হওয়ার সময় বাধা দিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর একান্ত ইচ্ছার কারণে রাঙামাটিবাসী এই কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় পেয়েছে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নাছরিন সুলতানা, জেলা পরিষদের সদস্য অংসুছাইন চৌধুরী, প্রিয়নন্দন চাকমা, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা বলেন, পাহাড়ের প্রতিটি বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী চিন্তা করেন। পাহাড়ে চিকিৎসা সেবা উন্নত করার জন্য মেডিকেল কলেজ ও উচ্চ শিক্ষার জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়েছেন। একই সঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো জাতীয় করণ করা
হয়েছে।

বক্তারা আরও বলেন, পাহাড়ে দুর্গম এলাকায় পিছিয় পড়া জনগোষ্ঠী এর মাধ্যমে শিক্ষিত হয়ে দেশে ও জাতির সেবায় নিজের নিয়োজিত রাখবে। আপনাদের হাত ধরে জরাজীর্ণ বিদ্যালয়টি একটি মডেল বিদ্যালয় হয়ে উঠবে এমনটি প্রত্যাশা। আপনার শিশুদের সু-নাগরিক তৈরিতে ভুমিকা রাখবেন।

রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরীর বলেন, পাহাড়ে শান্তির জন্য শান্তি চুক্তি করা হয়েছে। এর ফলে জেলা পরিষদ ও আঞ্চলিক পরিষদ হয়েছে। পাহাড়ের ছেলে মেয়েদের চাকরীর জন্য ঢাকায় কম যেতে হয়। এছাড়া নানা সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে পাহাড়ের স্থানীয় নাগরিকরা।

তিনি আরও বলেন, আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি, আমরা যুদ্ধ চাই না। শান্তি অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগ সরকারের বিকল্প নেই। আর রাঙামাটিতে যেভাবে উন্নয়ন হচ্ছে এবং দীপংকর তালুকদার ছাড়া রাঙামাটির উন্নয়ন সম্ভব না। আগামী নির্বাচনে পোলিং অফিসার হিসেবে আপনাদেরও ভুমিকা রাখতে হবে। দুর্গম এলাকায় অবৈধ অস্ত্রধারীরা ব্যালট ছিনিয়ে নিতে না পারে সেই ব্যবস্থা নিতে হবে।
যাতে কেউ ব্যালট ছিনতাই করতে না পারে।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে পাহাড়ে ২১০টি বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হয়। যার মধ্যে রাঙামাটিতে ৮১টি বিদ্যালয় রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *