যুক্তরাষ্ট্রে গত সেপ্টেম্বরে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি লোকের চাকরি হয়েছে। এতে আবারও দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের (ফেড) সুদের হার বাড়ানোর আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।
সেই সঙ্গে মার্কিন মুদ্রা ডলার এবং বন্ড ইল্ড বৃদ্ধির শঙ্কা জেগেছে। ফলে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম কমেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
শুক্রবার (৭ অক্টোবর) স্পট মার্কেটে আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্ক স্বর্ণের মূল্য হ্রাস পেয়েছে শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ। প্রতি আউন্স বিক্রি হয়েছে ১৬৯৫ ডলার ৪০ সেন্টে।
তবে চলতি সপ্তাহে স্বর্ণের দর ঊর্ধ্বমুখী ধারায় রয়েছে। এ সময়ে মূল্যবান ধাতুটির মূল্য বেড়েছে ২ শতাংশ। অবশ্য গত কয়েকদিন ধরেই স্বর্ণের দাম বাড়ছিল।
ওই দিন ফিউচার মার্কেটে স্বর্ণের দরপতন হয়েছে ১ শতাংশ। আউন্স প্রতি তা বিকিয়েছে ১৭০৩ ডলার ৪০ সেন্টে।
গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রে ২ লাখ ৬৩ হাজার জনের চাকরি হয়েছে। অর্থনীতিবিদদের প্রত্যাশার চেয়ে যা বেশি। তাদের পূর্বাভাস ছিল ২ লাখ ৫০ হাজার।
নিউইয়র্কের হেরাউস প্রিসিয়াস মেটালসের একজন ব্যবসায়ী তাই ওং বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমবাজারে বেকারত্ব কমেছে। ফলে আবার ৭৫ বেসিস পয়েন্ট সুদহার বাড়াতে পারে ফেড।
তিনি বলেন, বুলিয়ন মার্কেটে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ১৬৯০ ডলারের আশেপাশে থাকবে না। সেটা চলে যেতে পারে ১৬৬০ এর ঘরে। আগামী সপ্তাহে মুদ্রাস্ফীতি তথ্য প্রকাশ করবে যুক্তরাষ্ট। এখন সেদিকেই খেয়াল রাখা হচ্ছে।
মার্কিন সুদের হার বৃদ্ধি স্বর্ণের জন্য খুবই স্পর্শকাতর বিষয়। কারণ এতে ডলার ও বন্ডের দাম বেড়ে যায়। ফলে দামি ধাতুটির মূল্য নিম্নমুখী হয়।