নাঙ্গলকোটে মেয়ের হাতে বাবা খুন!

Slider জাতীয়

নাঙ্গলকোটে মেয়ের বিরুদ্ধে বৃদ্ধ বাবাকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার রায়কোট দক্ষিণ ইউনিয়নের তুলাতুলি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন লাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক হোসেন।

নিহত আবুল কাশেম মোল্লা (৭০) ওই গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় কাশেমের মেয়ে জেসমিন আক্তার ও তার স্বামী পেয়ার আহমেদকে আটক করেছে পুলিশ। এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্ত্রী ফিরোজা বেগম ও বড় মেয়ে রিনা আক্তারকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

স্থানীয় ইউপি মেম্বার জিয়াউল হক বলেন, নিহত আবুল কাশেম মোল্লার ছয় মেয়ে, এক ছেলে রয়েছে । ছেলে শাহীন পরিবার নিয়ে চট্টগ্রামে বসবাস করে। কাশেম মোল্লা ঘর তৈরির জন্য চট্টগ্রামে বসবাসরত এক মেয়ে ফরিদার কাছে দুই শতক সম্পত্তি বিক্রি করেন। বুধবার সন্ধ্যার দিকে আবুল কাশেমের স্ত্রী ফিরোজা বেগম চট্টগ্রামে বসবাসরত মেয়ে ফরিদাকে চট্টগ্রামে যওয়ার পথে স্থানীয় ইলেকশান বাজারে এগিয়ে দিয়ে বাড়ির যাওয়ার পর স্বামী আবুল কাশেমকে ঘরের খাটের নিচে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। এসময় তার চিৎকারে প্রতিবেশিরা এগিয়ে আসে। আবুল কাশেমকে হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। আবুল কাশেমের মাথায়, গায়ে এবং মুখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

জিয়াউল হক আরো জানান, আবুল কাশেমের ভিটে মাটি ছাড়া অন্য কোনো সম্পত্তি নেই। গত দুই-তিন বছর আগে জেসমিন আক্তারের প্রথম বিয়ে হয়। ওই বিয়ে ভেঙ্গে যায়। গত কয়েক মাস আগে পাশবর্তী মন্তলী গ্রামের পেয়ার আহম্মেদ এর সাথে দ্বিতীয় বিয়ে হয়। জেসমিন স্বামী নিয়ে বাপের বাড়িতে থাকেন। তার আগের সংসারে দুই সন্তান রয়েছে। হত্যার সময় ঘরে জেসমিন এবং তার বাবা আবুল কাশেম কাশেম ছিলেন। কী
জন্য জেসমিন তার বাবাকে হত্যা করেছে- এটা জানতে পারিনি। এর আগে জেসমিন এবং তার পিতা আবুল কাশেমের মধ্যে কোনো বিরোধের ঘটনাও আমরা গ্রামবাসী কখনো শুনিনি।

রাত ১০টার দিকে লাঙ্গলকোট থানার ওসি ফারুক হোসেন বলেন, ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় জেসমিনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া আরো তিনজনকে আটক করা হয়েছে। আমরা ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছি। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *