মাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর ঘরেই লাশ পুঁতে রাখেন ছেলে!

Slider ফুলজান বিবির বাংলা

রংপুরে মাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখার অভিযোগ উঠেছে ছেলের বিরুদ্ধে। এলাকাবাসী অভিযুক্ত ছেলে জামিলকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে। আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, টাকা পয়সা নিয়ে বিরোধের জেরে বড় ভাইয়ের নির্দেশে মাকে হত্যা করেছেন।

এদিকে, আটকের সময় উপস্থিত অনেকেই বলেছেন, প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদে মায়ের নামে তোলা কিস্তির টাকা পরিশোধ না করতেই বড় ভাই লোক পাঠিয়ে মাকে হত্যা করার দাবি করেছিল আটক ছোট ভাই।

রংপুর জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার সি সার্কেল আশরাফুল আলম পলাশ জানান, কাউনিয়ার চর নাজিরদহ এলাকার মৃত লালমিয়ার স্ত্রী ষাটোর্ধ্ব জমিলা খাতুনের খোঁজ মিলছিল না ২০ আগস্ট থেকে। পরিচিত এক নারী গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাকে খুঁজতে গিয়ে দেখেন শোবার ঘরে মেঝে নতুনভাবে নিকানো। সন্দেহ হলে গ্রামের আরও কয়েকজনকে নিয়ে মাটি খুঁড়ে দেখতে পান সেখানে পচে যাওয়া লাশ। লাশটি জমিলা খাতুনের নিশ্চিত করেন তারা। সঙ্গে সঙ্গে এলাকাবাসী ছেলে জামিলকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়।

পুলিশ কর্মকর্তা আশরাফুল আলম পলাশ আরও জানান, খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হই আামিসহ কাউনিয়া থানা পুলিশ ও সিআইডির টিম। আলামত সংগ্রহ শেষে মঙ্গলবার রাত সোয়া ২টাই লাশ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। প্রয়োজনীয় কার্যাদি শেষে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।

তিনি বলেন, এলাকাবাসী যখন তাকে আটক করে তখন এবং পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে টাকা পয়সা নিয়ে বিরোধের জেরে নিজেই মাকে গামছা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর শয়নঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখার কথা জানিয়েছে জামিল। তবে তার কথার পাশাপাশি এ ঘটনায় আরও অন্য কেউ জড়িত কিনা সে বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।

এলাকাবাসী জানায়, এত বড় একটি ঘটনা ঘটলেও জামিলকে স্বাভাবিক দেখা গেছে গত পাঁচদিন। যে ঘরে মাকে পুঁতে রাখা হয় সেই ঘরেই রান্নাবান্নাও করে খেয়েছে জামিল। জামিল নেশা করার কারণে মাস তিনেক আগে তার স্ত্রী বাপের বাড়ি চলে গেছেন। ওই পাঁচদিনেও সে ছাগল চড়ানোসহ সব কাজকর্ম করেছে। এত বড় একটি ঘটনা ঘটিয়ে জামিল কিভাবে এত স্বাভাবিক থাকল এবং এ ঘটনায় অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা তা তদন্ত করে বের করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *