ইভিএমে ভোট: পাল্টাপাল্টি প্রতিক্রিয়া আ. লীগ-বিএনপির

Slider রাজনীতি


দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে নির্বাচন কমিশনের বৈঠক এ সিদ্ধান্ত হয়। এ সিদ্ধান্তকে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ স্বাগত জানালেও বিরোধিতা করছে বিএনপি।

আওয়ামী লীগ বলছে, এ সিদ্ধান্ত সবার মেনে নেয়া উচিত। তবে বিএনপি বলছে, একতরফা নির্বাচনের আরেকটি সাজানো নাটক মঞ্চস্থ করতে যাচ্ছে সরকার ও নির্বাচন কমিশন।

নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের পর থেকেই আলোচনায় ছিল ইভিএম। আর এ মেশিনের ব্যবহার নিয়ে প্রথম দফায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচন কমিশন।

তবে এ নিয়ে দলগুলোর মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। বেশ কিছু রাজনৈতিক দল ইভিএমের বিরোধিতা করলেও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল চেয়েছিল আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই ভোট হোক ইভিএমে।

আবার কেউ দাবি তুলেছিল এই পদ্ধতি সংস্কারের। এর মধ্যেই আগামী নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইভিএম মেশিনে ভোটের সিদ্ধান্তের কথা জানায় নির্বাচন কমিশন।

এ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য। আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, কত আসনে ইভিএমএ নির্বাচন হবে তা ইসির বিষয়, তবে তাদের এ সিদ্ধান্ত সব রাজনৈতিক দলের মেনে নেয়া উচিত।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, আমরা চেয়েছি এখন সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন। তারা যে সিদ্ধান্ত নেবেন সব রাজনৈতিক দল সে সিদ্ধান্ত মেনে নেবে। স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত নেয়ার এখতিয়ার আছে। অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য যেটা করণীয় বলে মনে করবেন সেটাই তারা করবেন।

বিএনপি নেতারা বলছেন, কমিশনের মাধ্যমে আবারও একতরফা নির্বাচন করে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার নীলনকশা বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে সরকার। সেই ফাঁদে বিএনপি পা দেবে না বলেও মন্তব্য করেন দলের নেতারা।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এটাই তো প্রত্যাশিত ছিল। এই লোকগুলোকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে ভোট চুরির যে প্রকল্প তার অংশ হিসেবে। সেই প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে তারা সেটিই করেছে। এ কারণে তাদের ওপর বাংলাদেশের জনগণের কোনো আস্থা নেই। তাই এরা কী করছে সেটা নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা নেই।

নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার ও নিরপক্ষে নির্বাচন কমিশনের অধীনে আগামী নির্বাচন না হলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না বলেও দাবি করেন বিএনপির এই নেতা।

মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে এ বিষয়ে বৈঠকে বসে নির্বাচন কমিশন। বৈঠক শেষে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্তের কথা জানান ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *