চট্টগ্রাম কারাগারে তালাবদ্ধ কক্ষ থেকে উধাও হত্যা মামলার আসামি

Slider জাতীয়

চট্টগ্রামঃ চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে ফারহাদ হোসেন রুবেল নামে এক কারাবন্দী নিখোঁজ হয়েছেন। শনিবার সকাল থেকে তার কোনো খোঁজ না পেয়ে দুপুরে কোতোয়ালী থানায় একটি জিডি করেছেন চট্টগ্রাম কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো: শফিকুল ইসলাম খান।

ফারহাদ হোসেন রুবেল হাজতি নম্বর ২৫৪৭/২১। তিনি গত ৯ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম নগরীর সদরঘাট থানার একটি হত্যা মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আসেন। তার গ্রামের বাড়ি নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানায়।

কারাগার সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম কারাগারের ১৫ নম্বর কর্ণফুলী ভবনের ‘পানিশমেন্ট’ ওয়ার্ডে হত্যা মামলার আসামি ফরহাদ হোসেন রুবেলসহ অন্য আসামিদের রুমে তালাবদ্ধ করে দেয় কারা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু শনিবার ভোর ৬টায় আবার কক্ষের তালা খোলার পর যখন হাজতিদের রোলকল করা হচ্ছিল তখন সন্ধান মিলছিল না রুবেল নামের ওই হাজতির। কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনির মধ্যেও তালাবদ্ধ একটা ভবন থেকে একজন হাজতির হঠাৎ উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনায় তোলপাড় চলছে কারা অভ্যন্তরে। এ নিয়ে শনিবার দুপুরে কোতোয়ালী থানায় একটি জিডি করেছেন চট্টগ্রাম কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার।

অন্য দিকে কারা অভ্যন্তরেই ওই হাজতি লুকিয়ে থাকতে পারে ধারণা করে সেখানে ব্যাপক তল্লাশি চালায় কারা কর্তৃপক্ষ। বাজানো হয় পাগলা ঘণ্টা এবং পরিস্থিতি মোকাবেলায় অতিরিক্ত দাঙ্গা পুলিশও কারাগারে প্রবেশ করানো হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রুবেলের সন্ধানের ব্যাপারে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নিজাম উদ্দিন নয়া দিগন্তকে বলেন, চট্টগ্রাম নগরীর সদরঘাট থানার হত্যা মামলার আসামি ফারহাদ হোসেন রুবেল নামে একজন বন্দী কারা অভ্যন্তরে নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়ে কারা কর্তৃপক্ষ একটি জিড়ি করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘গত ফেব্রুয়ারি মাসে মাদারবাড়ি রেলবিট এলাকায় একটি হত্যাকাণ্ড হয়। রেলবিটের পাশে মাদকের আসর বসেছিল। মাদক সেবনের একপর্যায়ে একজন আরেকজনের চোখে আলো ফেলে। এ নিয়ে তর্কবিতর্ক শুরু হয়। তখন ফরহাদ হোসেন রুবেল একজনকে ছুরিকাঘাত করে। হাসপাতালে নেয়ার পর তার মৃত্যু হয়। আমরা অভিযান চালিয়ে রুবেলকে গ্রেফতার করেছিলাম।’

এ বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো: শফিকুল ইসলাম খান ও জেলার মো: রফিকুল ইসলামের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও তারা ফোন না ধরায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *