ঢাকা-কলকাতা রুটে আরো একটি ট্রেন চালানোর প্রস্তাব ভারতের

Slider সারাবিশ্ব


ঢাকা থেকে কলকাতার মধ্যে আরো একটি আন্তঃদেশীয় ট্রেন চালানোর প্রস্তাব দিয়েছে ভারত। সোমবার (১৮ জুলাই) রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজনের সাথে তার দফতরে সাক্ষাৎ করে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী এ প্রস্তাব দেন।
এ সময় বাংলাদেশে ভারতীয় অর্থায়নে যেসব প্রকল্প চলমান রয়েছে এবং ভবিষ্যতের জন্য যেসব প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে সেগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

আলোচনায় ভারতের হাইকমিশনার জানান, বর্তমানে বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে মৈত্রী, বন্ধন এবং মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেন চালু রয়েছে। যাত্রী চাহিদা বিবেচনা করে ঢাকা-কলকাতার মধ্যে দর্শনা হয়ে আরো একটি ট্রেন চালানো যেতে পারে। এ সময় রেলপথ মন্ত্রীর ভারত সফরের বিষয়টি ওঠে আসে।

মন্ত্রী এ সময় জানান, তিনি ভারত সফরের সময় আধুনিক কোচ তৈরির কারখানা পরিদর্শন করেছেন। ঢাকা থেকে কক্সবাজারে চালানোর জন্য উন্নত মানের টুরিস্ট কোচ তিনি ভারত থেকে আমদানি করতে আগ্রহী। লাইন অফ ক্রেডিটের আওতায় এ কোচের পাশাপাশি ইঞ্জিন এবং লাগেজ ভ্যান ক্রয়ের বিষয়ে রেলপথমন্ত্রী ইচ্ছা প্রকাশ করেন। ভারতের পক্ষ থেকে এগুলো ক্রয়ের বিষয়ে দ্রুত উদ্যোগ নেয়ার তাগিদ দেয়া হয়।

মন্ত্রী এ সময় নেপাল এবং ভুটানের সাথে রেলপথে কানেক্টিভিটি বাড়ানোর বিষয়ে জোর দেন। সে ক্ষেত্রে চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রুটকে আরো শক্তিশালী করার উপর গুরুত্ব দেয়া হয়।

আলোচনায় আরো যে বিষয়গুলো উঠে আসে তা হলো- পঞ্চগড় থেকে বাংলাবান্ধা নতুন রেল লাইন নির্মাণ এবং বাংলাবান্ধা থেকে ভারতীয় অংশ যেখানে সংযোগ স্থাপিত হবে- সেটি ভারতের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়নি। কাজেই ভারতকে এ বিষয়টি দ্রুত করার আহ্বান জানানো হয়।

ভারতীয় অর্থায়নে নির্মিত হচ্ছে সিরাজগঞ্জ থেকে বগুড়া পর্যন্ত রেললাইন। রেলপথ মন্ত্রী বগুড়া পর্যন্ত লাইনকে সান্তাহার পর্যন্ত বর্ধিত করার আহ্বান জানান। কারণ বগুড়া থেকে সান্তাহার পর্যন্ত মিটারগেজ লাইন রয়েছে। সেখানে ডুয়েল গেজ লাইন করতে না পারলে ব্রডগেজের উপকার ভোগ করা যাবে না। এর পাশাপাশি ভারতীয় অর্থায়নে খুলনা-মংলা রেললাইন, ঢাকা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত তৃতীয় ও চতুর্থ রেললাইন নির্মাণে যে সমস্যা- সেটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

বেনাপোল স্টেশনের আধুনিকায়ন, সিরাজগঞ্জে আইসিডি নির্মাণ, সৈয়দপুরে একটি আধুনিক মানের কোচ তৈরির কারখানা, বাংলাদেশের সহকারী লোকোমোটিভদের ভারতে ট্রেনিং দেয়ার বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়।

সাক্ষাৎকালে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (রোলিং স্টক) মো. মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার শাহাদাত হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *