জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও নাগরিক সমাবেশ

Slider কৃষি, পরিবেশ ও প্রকৃতি

IMG_20150422_025449

শিল্প বর্জের দূষণ, তৈল-বিষ-রাসায়নিক বর্জ্যরে দূষণ, পারমাণবিক বর্জ্যরে দূষণ, কার্বনের নিঃসরণ ইত্যাদি বন্ধ করে নদী-পানি-জীববৈচিত্র্য প্রাকৃতিক পরিবেশকে টিকিয়ে রেখে পৃথিবীকে বাসযোগ্য করার দাবিতে অদ্য সকাল ১০.৩০ মি: বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলনের উদ্যেগে “বিশ্ব ধরিত্রী” দিবস উপলক্ষ্যে জাতীয় প্রেসকøাবের সম্মুখে মানববন্ধন ও সমাবেশ কর্মসূচী পালন করা হয়। সংগঠনের সি:সহ-সভাপতি মো: ছানাউল্লার সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক মনোয়ার হোসেন রনির পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন-প্রকৌশলী ম ইনামুল হক- চেয়ারম্যান, জল ও পরিবেশ ইনিষ্টউট, মিহির বিশ্বাস, সহ-সভাপতি বাংলাদেশ নদী বাচাঁ আন্দোলন ও যুগ্ম সম্পাদক বাপা, পরিবেশবাদী সঙগঠন নোঙর এর সভাপতি শামস সুমন, নদী পত্রিকার ভার-প্রাপ্ত সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম,বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলনের যুগ্মসম্পাদক(দপ্তর) ডা:মো:বোরহান উদ্দিন অরণ্য, যুগ্ম সম্পাদক এড: মো: আনোয়ার হোসেন, কালিমুল্লাহ ইকবাল, অর্থ সম্পাদক মো: তাজুল ইসলাম , জীব বৈচিত্র বিষয়ক সম্পাদ বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার হাছিবুর রহমান , সহ দপ্তর সম্পাদক প্রকৌশলী জেমাম আহমেদ, সহ সাংস্কৃতিক সম্পাদক শামীম মোহাম্মদ, বেলাই বাচাঁও আন্দোলনের সভাপতি মাহমুদুলহাসান ভাওয়াল গড় বাচাও আন্দোলনের যুগ্ম সম্পাদক ফেডরিক মুকুল বিশ্বাস , গাজীপুর টুরিস্ট ক্লাবের সভাপতি প্রিন্সিপাল হূমায়ূন কবির, বাংলাদে নদী বাঁচাও আন্দোলনের গাজীপুর জেলা শাখার সভাপতি এ কে এম সিরাজুল ইলাম প্রমুখ। সমাবেশে বক্তারা বলেন যে শিল্প বর্জের দূষণ, তৈল-বিষ-রাসায়নিক বর্জ্যরে দূষণ, পারমাণবিক বর্জ্যরে দূষণ, কার্বনের নিঃসরণ ইত্যাদি বন্ধ করে নদী-পানি-জীববৈচিত্র প্রাকৃতিক পরিবেশকে টিকিয়ে রেখে পৃথিবীকে বাসযোগ্য করতে পারি এবং এই দাবিগুলো নিয়ে ১৯৭০ সালের ২২ এপ্রিল থেকে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। ২০১৫ সালে এ দিবসের প্রতিপাদ্য হলো “ সুন্দর পৃথিবীর জন্য পানি” (Water Wonderful World) তবে এ পানি অবশ্যই সুপেয় পানি। আর বাংলাদেশের জন্য এটি অত্যন্ত জরুরি বিষয়। বাংলাদেশের কৃষি, মৎস, জীববৈচিত্র, সুন্দরবন ধ্বংস হওয়ার পথে, নৌ চলাচল বন্ধ, দক্ষিণাঞ্চলে লোনা পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর কোথাও কোথাও ৩০০ মিটার পর্যন্ত নিচে নেমে গেছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য অবিলম্বে বর্ষা মৌসুমের বৃষ্টি ও হিমালয়ের বরফ গলা পানি ধরে রাখার জন্য প্রতিটি জেলায় বিদ্যমান ৩ হাজারের অধিক হাওড়-বাওড়, জলাশয়-বিল, ১০ লক্ষের অধিক দিঘী-পুকুরের ডোবাকে খনন, পুন:খনন ও সংস্কারের মাধ্যমে সুপেয় পানির জলাধার হিসেবে গড়ে তোলার কর্মসূচি হাতে নিতে হবে।

বার্তা প্রেরক
ডা. মো: বোরহান উদ্দিন অরন্য
যুগ্ম সম্পাদক (দপ্তর)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *