রুশ বাহিনীর হাতে বন্দি দুই ব্রিটিশ ও এক মরোক্কান সেনাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়ায় উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। রায়ের পর পুরো প্রক্রিয়াকে ‘প্রহসনের বিচার’ বলে আখ্যা দিয়েছে যুক্তরাজ্য। অন্যদিকে এই ঘটনাকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন ও তামাশা বলছে ইউক্রেন।
এদিকে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পুড়ছে ইউক্রেনের খারকিভ শহর। বৃহস্পতিবার (৯ জুন) শহরটিতে রুশ হামলায় তিন বেসামরিক নাগরিক নিহতের দাবি করেছে পশ্চিমা গণমাধ্যম। এ ছাড়া গোলার আঘাতে আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলেও জানানো হয়। এক বিবৃতিতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, শহরের পশ্চিমাঞ্চলের একটি হাসপাতাল, ক্যাফে, সুপারমার্কেট ও স্কুল লাইব্রেরি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রুশ বাহিনী।
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর সেভেরোদোনেৎস্কেও রুশ বাহিনীর সঙ্গে তীব্র লড়াই চলছে ইউক্রেনীয় সেনাদের। প্রবল হামলার মুখে একপর্যায়ে পিছু হটলেও শহরের গভর্নর দাবি করেছেন, নিজেদের অবস্থান ফিরে পেতে পাল্টা হামলা শুরু করেছে ইউক্রেনীয় সেনারা। শহরের গুরুত্বপূর্ণ শিল্প এলাকা এখনো ইউক্রেনের দখলে রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। যদিও পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো দাবি, সেভেরোদোনেৎস্কের নিয়ন্ত্রণ রুশ বাহিনীর হাতে যাওয়া এখন সময়ের ব্যাপার।
এদিকে ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ভাড়াটে সেনা হিসেবে অংশ নেয়ার অভিযোগে দুই ব্রিটিশ ও এক মরক্কোর নাগরিককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন দোনেৎস্কের একটি আদালত। সাজা পাওয়া ওই তিন ব্যক্তি হলেন নটিংহামশায়ারের এডেন অ্যাসলিন ও বেডফোর্ডশায়ারের শন পিনার এবং মরক্কোর সাউদিন ব্রাহিম। এই ঘটনার জেরে উত্তেজনা বেড়েছে রাশিয়া ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে।
এক টুইট বার্তায় ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস আদালতের ওই আদেশের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। এক বিবৃতিতে কিয়েভ জানিয়েছে, দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিকের ওই আদালত আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নয়। এদিকে আটককরা দুই ব্রিটিশ নাগরিকের পরিবারের দাবি, তারা ইউক্রেনের সেনাবাহিনীতে কাজ করতেন।