সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন

Slider জাতীয়


সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর।
সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন

রোববার (৫ জুন) বেলা ১২টার দিকে অধিদফতরের উপমহাপরিদর্শক (চলতি দায়িত্ব) আব্দুল্লাহ আল সাকিব মুবাররাত স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

অধিদফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক শিপন চৌধুরীকে প্রধান করে গঠিত কমিটির সদস্যসচিব করা হয়েছে শ্রম পরিদর্শক (স্বাস্থ্য) শুভংকর দত্তকে। আরেক সদস্য হলেন শ্রম পরিদর্শক (নিরাপত্তা) মো. শামীম হোসেন।

কমিটিকে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

এদিকে সীতাকুণ্ডের অগ্নিকাণ্ডে হতাহতদের জন্য এক কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।

রোববার (৫ জুন) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডে মৃতদের দাফন ও সৎকার এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য এ অর্থ দেয়া হবে।

এছাড়াও অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যার্থে মানবিক সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে এক হাজার প্যাকেট শুকনো খাবারে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে রোববার এ বরাদ্দ দেয়া হয়।

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃত বেড়ে ৪০ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে আটজন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী। অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়েছেন চার শতাধিক।

সবশেষ খবর অনুযায়ী আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট কাজ করছে।

শনিবার (৪ জুন) রাত ৮টার দিকে বিএম কন্টেইনার ডিপোর লোডিং পয়েন্টের ভেতরে আগুনের সূত্রপাত হয়। কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। রাত পৌনে ১১টার দিকে এক কন্টেইনার থেকে অন্য কন্টেইনারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। রাসায়নিক থাকায় একটি কন্টেইনারে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, স্থানীয় শ্রমিকসহ অনেকে হতাহত হন। পুড়ে যায় ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়িও।

ধীরে ধীরে ফায়ার সার্ভিসের আরও ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেন। তবে ডিপোতে হাইড্রোজেন পারক্সাইড থাকার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন।

এদিকে সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *