পাকিস্তানের ইতিহাসে ভোজ্যতেলের সর্বোচ্চ দাম নির্ধারণ

Slider সারাবিশ্ব


পাকিস্তান সরকার ঘি এবং ভোজ্যতেলের দাম আচমকা বাড়িয়ে দিয়েছে। একলাফে হঠাৎ প্রতি কেজি ঘিয়ের দাম ২০৮ রুপি এবং প্রতি লিটার ভোজ্যতেলের দাম ২১৩ রুপি বাড়িয়ে দেশটির জনগণকে চমকে দিয়েছে শাহবাজ শরিফের সরকার।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডনের প্রকাশিত এক প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

মঙ্গলবার (৩১ জুন) পাকিস্তানে প্রতি কেজি ঘিয়ের দাম বাড়িয়ে ৫৫৫ রুপি এবং প্রতি লিটার ভোজ্যতেলের দাম ৬০৫ রুপি নির্ধারণ করেছে সরকার। এতে দেশটিতে সরকার নির্ধারিত তেলের দাম সর্বকালে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠে গেছে। তবে খুচরা বাজারে এখনও এ হারে নিত্যপণ্য দুইটি বিক্রি হচ্ছে না।

পাকিস্তানের রাষ্ট্রায়ত্ব সুপারশপ পরিচালনাকারী সংস্থা ইউটিলিটি স্টোর করপোরেশনের (ইউএসসি) একজন কর্মকর্তা ডনকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বুধবার (১ জুন) থেকে ঘি এবং ভোজ্যতেলের এ বর্ধিত নতুন মূল্য কার্যকর হবে। এনিয়ে সংস্থাটি একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।

তবে পাকিস্তান সরকার কেন এত নির্দয়ভাবে হুট করে তেল ও ঘিয়ের দাম বাড়িয়ে ভোক্তাদের বিপাকে ফেলেছে, এ বিষয়ে সরকারি এ কর্মকর্তা কোনো মন্তব্য করেননি।

এদিকে পাকিস্তানের খুচরা বাজারে বিখ্যাত ব্র্যান্ডের ঘি এবং ভোজ্যতেলের সর্বোচ্চ হার এখনও প্রতি লিটারে ৫৪০ থেকে ৫৬০ রুপির মধ্যে রয়েছে।

অবশ্য এ দাম যে দীর্ঘ সময় স্থায়ী হবে না, ইউএসসির নতুন দাম শিগগিরই খুচরা বাজারে কার্যকর হবে, সেই ইঙ্গিত দিয়েছেন পাকিস্তান বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (পিভিএমএ) সেক্রেটারি-জেনারেল উমর ইসলাম খান।

তিনি বলেন, ঘি ও ভোজ্যতেল প্রস্তুতকারীরা ইউএসসিকে ধারে পণ্য দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে। কারণ সংস্থাটি তাদের পাওনা ২ থেকে ৩ বিলিয়ন রুপি এখনও পরিশোধ করেনি।

উমর বলেন, পাম তেলের সরবরাহ সংক্রান্ত প্রধানমন্ত্রীর টাস্কফোর্স কমিটি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এবং পিভিএমএর কর্মকর্তারা পাম তেলের চাহিদা ও সরবরাহ পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করতে প্রতিদিন জুম মিটিং করছে।

তিনি বলেন, করাচির দুই বন্দরে প্রায় এক লাখ ৬০ হাজার টন পাম তেলের মজুত রয়েছে, যা তিন সপ্তাহের চাহিদা মেটাতে পারবে। অপরদিকে ২৩ মে পাম তেলের ওপর ইন্দোনেশিয়ার রফতানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া সত্ত্বেও, দেশটির বন্দরে পাকিস্তানের কোনো জাহাজে মাল তোলা হয়নি বা একটি জাহাজও পাকিস্তানের পথে রওয়ানা দেয়নি।

এমন পরিস্থিতিতে পিভিএমএ মালয়েশিয়া থেকে পাম তেল আমদানিতে বাড়তি দুই শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়েছে। কারণ ইন্দোনেশিয়ার তুলনায় মালয়েশিয়া থেকে পাম তেল আমদানিতে পাকিস্তানের ১৫ থেকে ২০ শতাংশ খরচ বেশি পড়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *