ঢাকা: সরকারকে অনুমতি ছাড়া তিন সিটি নির্বাচনী এলাকায় কোনো বদলি না করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ নির্দেশনা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরের ১৫ দিন পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
আগামী ২৮ এপ্রিল ঢাকা সিটি করপোরেশন উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করবে ইসি। এক্ষেত্রে নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট যদি ৩০ এপ্রিল হয়, তবে ১৫ মে পর্যন্ত ওই তিন নির্বাচনী এলাকায় বদলি কার্যক্রম সীমিত থাকবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো ইসির নির্দেশনায় বলা হয়েছে- ‘সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনে সহায়তা করা সকল নির্বাহী কর্তৃপক্ষের কর্তব্য। এছাড়া সিটি করপোরেশন নির্বাচন বিধিমালার বিধি তিন অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশন তার দায়িত্ব পালনে সহায়তা করার জন্য রাষ্ট্রের যে কোনো ব্যক্তি বা নির্বাহী কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিতে পারবে। সে নির্দেশ পালনে উক্ত ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষ বাধ্য।’
বিধিমালার ৮৯ বিধি অনুযায়ী, ‘সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার তারিখ থেকে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর ১৫ দিন সময় অতিক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত ইসির অনুমতি ব্যতীত নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের অন্যত্র বদলি করা যাবে না।’ অর্থাৎ ইসির অনুমতি ছাড়া ঢাকা সিটি ও চট্টগ্রাম সিটির কোনো সরকারি বা স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে চাকরিজীবীকে অন্যত্র বদলি করতে পারবে না সরকার।
ইসি সচিব সিরাজুল ইসলাম নির্দেশনাটি মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞার কাছে পাঠিয়েছেন।
নির্দেশনায় আরো বলা হয়েছে, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, স্বায়ত্বশাসিত সংস্থা ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্য থেকে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে। এছাড়া সরকারি ও সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষিকারা নির্বাচনের কাজে দায়িত্ব পাবেন। আবার ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেট ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার সদস্যরা নিয়োজিত থাকবেন।
অন্যদিকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে তিন সিটি নির্বাচনে নিয়োজিত সকল স্বায়ত্বশাসিত ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আইন অনুসরণ করে অর্পিত দায়িত্ব পালনের নির্দশনা জারি করতেও বলেছে ইসি।