তীরে এসে ডুবল তরী, হার নিয়ে যা বললেন অধিনায়ক জ্যোতি

Slider খেলা

আইসিসি নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে শক্তিশালী ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারানোর বড় সুযোগ পেয়েছিল নিগার সুলতানারা। তবে জয়ের খুব কাছে গিয়েও হারতে হলো বাংলাদেশকে। শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে ক্যারিবীয় মেয়েদের দেওয়া ১৪১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১৩৬ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। শুক্রবার বিশ্বকাপে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে মাত্র ৪ রানে হেরেছে বাংলাদেশের মেয়েরা।

ব্যাটিং ব্যর্থতায় সহজ সুযোগ হারিয়ে হতাশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। তিনি ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘অনেক বড় একটা সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেছে, এটার জন্য সবার মন খারাপ হওয়াটা স্বাভাবিক। এসব ম্যাচ অনেক ক্লোজ, অনেক বড় সুযোগ ছিল আরও দুই পয়েন্ট নেওয়ার।’

তিনি আরও বলেন, এত অল্প রানে (১৪০ রানে) ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো টিমকে আটকানো, এরপর খুব কাছাকাছি গিয়ে এরকমভাবে হারা। শেষ পর্যন্ত নাহিদা অনেক ফাইট করেছে, যদি একটা ব্যাটার তাকে সাপোর্ট করতো, তাহলে ফলটা আলাদা হতে পারতো।
অধিনায়ক জ্যোতি বলেন, আমাদের বোলাররা যেভাবে শুরু করেছিল, দুর্দান্ত। তবে ব্যাটিং নিয়ে হতাশ। আমরা জুটি গড়তে পারিনি। আমার উচিত ছিল শেষ পর্যন্ত খেলা। এসব পরিস্থিতিতে আমাদের অভিজ্ঞতার অভাব রয়েছে। যদি আমরা নিয়মিত খেলি, তাহলে আরও উন্নতি হবে।’

এদিন দ্বিতীয় ইনিংসের শেষ ৫ ওভারে ১৯ রান দরকার ছিল বাংলাদেশের। হাতে মাত্র ২ উইকেট। ৪৬তম ওভারে অযথা ক্যাচ তুলে জাহানারা আলম বিদায় নেন। ওই ওভারে আসে মাত্র ১ রান। অর্থাৎ ১ উইকেট নিয়েই বাকি পথ পাড়ি দিতে হবে। এ অবস্থায় ৪৭তম ওভারে ৫ রান নিলেন নাহিদা। পরের ওভারে ২ ওয়াইডসহ এলো ৩ রান। ৪৯তম ওভারে ওয়াইডসহ শেষ বলে নাহিদার সিঙ্গেলে এলো ২ রান। ফলে শেষ ওভারে ৮ রানের লক্ষ্য। ওভারের প্রথম বলে ডাবল নিয়ে দ্বিতীয় বলে সিঙ্গেল নিলেন নাহিদা। সর্বনাশটা সেখানেই হলো। কারণ পরের বলেই স্ট্রাইকে থাকা ফারিহা তৃষ্ণা বোল্ড হয়ে ফিরলেন। এই ব্যাটিং ব্যর্থতায় সহজ সুযোগ হারিয়ে স্বপ্নভঙ্গ হলো বাংলাদেশের।

এদিন উইন্ডিজের পক্ষে মাত্র ১৫ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন হ্যালে ম্যাথিউস। ৩টি করে উইকেট নেন আফে ফ্লেচার ও স্টেফান টেইলর। এর আগে, টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দুই ক্যারিবীয় ওপেনার স্কোর বোর্ডে ২৯ রান তুলতেই জুটি ভাঙেন জাহানারা আলম। জাহানারা আলমের বল ব্যাটের কানায় লেগে দেন্দ্রা ডটিন ক্যাচ দেন উইকেট রক্ষক শারমিন সুলতানার হাতে।

আরেক ওপেনার হ্যালে ম্যাথিউস ৪৩ বলে ১৮ রান করে বিদায় নেন নাহিদা আকতারের বলে নিগার সুলতানার হাতে ক্যাচ দিয়ে। এরপর টাইগ্রেস বোলারদের তোপে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দলের পক্ষে শেমিন ক্যাম্পবেল ৫৩ (১০৭) রানের ইনিংসটা না খেললে হয়তো একশ রানও করতে পারত না তারা। এদিন সালমা ও নাহিদা বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *