মুকুলে নয়, আমে ছেয়ে গেছে গাছ

Slider কৃষি, পরিবেশ ও প্রকৃতি

ড্রাগন চাষে অভাবনীয় সাফল্যের পর এবার আমবাগানে রীতিমতো স্বপ্ন জয় করেছে ঘিওরের তরুণ কৃষক পলাশ সরকার। মূলত এ সময় গাছে গাছে মুকুল ধরার সময় হলেও বর্তমানে আমে আমে ছেয়ে গেছে পলাশের বাগান। উপজেলার বানিয়াজুরী সরকারি কলেজের অদূরে দুর্গা বাড়িতে পলাশের বাগানে গিয়ে দেখা যায় এ চিত্র। গাছের এক ডালে মুকুল তো অন্য ডালে আম ঝুলছে। অসময়ের আগাম আমে ছেয়ে গেছে গাছ। আকার ও রঙও হয়েছে বেশ লোভনীয়। অর্ধশত গাছের আম লাখ তিনেক টাকায় বিক্রির স্বপ্ন দেখছেন পলাশ। জানা যায়, পলাশ সরকার ২০১৮ সালে বাগান করার জন্য যশোর এলাকা থেকে আমের চারা নিয়ে তার বাগানে রোপণ করেন। দুই বছরেই ফলন পাওয়া যায়। তার রোপণকৃত আম গাছগুলোর মধ্যে কয়েকটি গাছে সারা বছর আম ধরে। বারো মাসই দেখা যায়, কখনো মুকুল, কখনো গুটি গুটি আম আবার কখনো বড় বড় আম।

এ বছর এসব গাছে গত দুই মাস আগে মুকুল দেখা যায়। মূলত এ সময় গাছে গাছে মুকুল ধরার সিজন হলেও বর্তমানে পলাশের বাগানের আমে ছেয়ে গেছে। থাই কাঠিমন, বারি ৪, কিউজাই ও ব্যানানা ম্যাংগো জাতের আম গাছ রয়েছে এ বাগানে।

শুক্রবার সকালে সরেজমিন দেখা যা, বাগানের চারিপাশে মুকুলের আম পরিপক্ক আমের মৌ মৌ গন্ধে মুখরিত পুরো এলাকা। বাগান পরিচর্যা কাজে ব্যস্ত দুইজন শ্রমিক। তাদের একজন মনির হোসেন বলেন, নিয়মিত পরিচর্যা, পানি, সার, বালাই নাশকসহ সার্বক্ষণিক যতœ নিতে হয় প্রতিটি গাছে। প্রতিটি থোকায় ১৫-২০টি আম হয়েছে এবং ইতোমধ্যে আমগুলো পাকতে শুরু করেছে। প্রতিটি আমের ওজন ২-৩শ গ্রাম হয়েছে। প্রতি কেজি আম ৪ শ’ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
স্থানীয় লোকমান মোল্লা বলেন, পলাশের বাগান থেকে এর আগে আমি কিনেছি। এ আমে আশের পরিমাণও খুব কম। খেতেও সুস্বাদু। তাই আরো পাঁচ কেজি আম কিনতে এসেছি।

তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা পলাশ সরকার বলেন, বারোমাসী কয়েকটি গাছ থাকায় তিনি পুরো বছরই আম বিক্রি করেন। তবে এবার মুকুলও এসেছে অনেক, ফলনও হয়েছে বেশ ভালো। তিনি আরো বলেন, অসময়ে আম পাওয়া যাওয়ায়, দাম পাওয়া যাচ্ছে ভালো এবং বাজারে প্রচুর চাহিদাও রয়েছে এ আমের। ধারণা করা হচ্ছে, এ বছর (আগাম ও নাবী সিজন) মিলে তিন লাখ টাকার ওপরে আম বিক্রি হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ বিপুল হোসেন বলেন, পলাশ সরকার একজন তরুণ উদ্যোক্তা। এর আগে তিনি ড্রাগন চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। তাকে প্রশিক্ষণ ও সার্বিক পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। তার মাধ্যমে বারোমাসি আমের চারা তৈরির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এটি সম্প্রসারণের বিভিন্ন উদ্যোগও গ্রহণ করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *