গাজীপুর:রাজাকারের সন্তানরা ভবিষ্যতে সরকারি চাকরি পাবে না বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। আজ শুক্রবার দুপুরে গাজীপুরের সাহাপাড়া এলাকায় ৫০ শয্যার ডায়াবেটিস হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, রাজাকারের তালিকা তৈরির আইন পার্লামেন্টে জমা দেওয়া আছে। পরবর্তী অধিবেশনে পাস হলেই রাজাকারের তালিকা তৈরির কাজ শুরু হবে।
গাজীপুর ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলিমউদ্দিন বুদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। বক্তব্য দেন সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি সামসুন্নাহার ভূঁইয়া, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান, সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এস এম আনোয়ারুল করিম প্রমুখ।
মোজাম্মেল হক বলেন, আমরা ১৯৭১ সালে সংগ্রাম করে দানবীয় শক্তিকে পরাজিত করার মাধ্যমে দেশকে স্বাধীন করেছি। কিন্তু পরাজিত শত্রু ও তাদের দোসররা বসে নেই। তারা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। তারা দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। দেশকে পেছনের দিকে ঠেলে দিতে চায়। এ পরাজিত শত্রুদের দমন করতে হবে।
গাজীপুর মহানগরীর ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাহাপাড়া এলাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১০১ টাকা প্রতীকী মূল্যে ডায়াবেটিক হাসপাতালের জন্য ৫৫ শতাংশ জমি বরাদ্দ দেন। ওই জমিতে হাসপাতাল নির্মাণে ২২ কোটি ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে ১৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকা এবং সমিতির পক্ষ থেকে ৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। ছয় তলাবিশিষ্ট হাসপাতাল প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় গণপূর্ত বিভাগ এবং প্রকল্প পরিচালকের দায়িত্ব পালন করবেন সমাজসেবা বিভাগের উপ-পরিচালক। ২০২৩ সালের জুন মাসের মধ্যে এটির নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।