অগ্নিঝরা মার্চ শুরু

Slider জাতীয় টপ নিউজ

শুরু হলো অদম্য সাহস আর আত্মপ্রত্যয়ের অগ্নিঝরা মার্চ। ১৯৭১ সালের এই মাসকে ধরা হয় মুক্তি সংগ্রামের চূড়ান্ত ক্ষণ হিসেবে। এ মাসেই দেশজুড়ে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলেন স্বাধীনতাকামী জনতা। নতুন পতাকা, বজ্রকণ্ঠ ঘোষণা ও কালোরাত- সব মিলিয়ে নানা ঘটনা প্রবাহে উত্তাল ছিল মার্চ মাস।
অগ্নিঝরা মার্চ শুরু

সময় পেরিয়ে যায়, ইতিহাস থেকে যায় অহংকারে-গৌরবে-বেদনায়। একাত্তর যেমনি আছে এই বাইশের বসন্তে। মার্চ কেবল একটি মাসের নাম নয়তো, অগ্নিঝরা মার্চ বাঙালি সত্তার সঙ্গে মিশে থাকা নিরতিশয় গর্বের পর্ব।

ছিল শত বাধা, প্রতিবাদ কিংবা প্রতিরোধও ছিল অবিরত। শুরুটা বাহান্নতে, এরপর মুক্তি সংগ্রামের নানা ধাপ অতিক্রম করে, ’৭০- এর সাধারণ নির্বাচনে নিরঙ্কুশভাবে জয় পায় বাঙালি। শুরু হয় পাকিস্তানি সামরিক জান্তার নীল নকশা বাস্তবায়ন। বাঙালিও সমস্ত শক্তি দিয়ে প্রতিবাদ করেছিল।

একাত্তরের ৭ মার্চ। দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে বঙ্গবন্ধু দাঁড়ালেন জনতার সামনে। বললেন, বাঙালির বঞ্চনার কথা, শোষণ আর শাসিত হওয়ার কথা। উনিশ মিনিটের এক জাদুকরী ভাষণে জাতিকে দীপ্ত মুক্তিসেনানিতে রূপান্তরিত করতে সক্ষম হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।

২৫ মার্চ ১৯৭১। বাঙালি জীবনে আসে নিকষ কালো রাত। পাকিস্তানি বাহিনী ঝাঁপিয়ে পড়ে নির্বিচারে হত্যা করে ঘুমন্ত সাধারণ মানুষকে।

এ রকম নানা ঘটনার সাক্ষী হয়ে থাকল একাত্তরে মার্চ।

অপরিসীম ত্যাগের পর বাঙালি স্বাধীনতা অর্জন করেছে ঠিক। তবে এখনও অর্জনের আছে অনেক কিছু। আর তাই দীর্ঘ সময় পার করেও প্রতিবছরই মার্চ যেন বাঙালিকে নতুন বোধ ও চেতনায় জাগ্রত করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *