মানিকগঞ্জে পুলিশের স্ত্রীকে হত্যার আগে ধর্ষণ করা হয়

Slider নারী ও শিশু


মানিকগঞ্জ: মানিকগঞ্জে পুলিশ কনস্টেবল মাসুদ রানার স্ত্রী বিলকিস আক্তার হত্যায় জড়িত এক নারীসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ দাবি করেছে, হত্যার চার দিনের মধ্যে রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে তারা। আর ওই নারীকে ধর্ষণের পর মুখে চেপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

বুধবার বেলা ১১টার দিকে নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান।

বিলকিস হত্যা মামলায় গ্রেফতার ব্যক্তিরা হচ্ছেন- আখি মনি লিপি (২০), তার স্বামী মো: কবির হোসেন (৩০), রিয়াজ উদ্দিন (২৬) ও শাকিল হাসান (১৯)।

এ সময় মামলার তদারকি কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর সাহা, সদর থানার অভিসার ইনচার্জ (ওসি) আকবর আলী খান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জামিনুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশ সুপার জানান, টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার চুরি করার উদ্দেশ্যে বিলকিসকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গত শুক্রবার দিবাগত রাতে মানিকগঞ্জের পশ্চিম দাশড়ার রিজার্ভ ট্যাংক এলাকায় ভাড়াবাড়িতে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে হাত, পা ও মুখ বেঁধে গলায় গামছা পেঁচিয়ে বিলকিসকে হত্যা করা হয়। টাকা-পয়সা ও স্বর্ণালঙ্কার চুরির উদ্দেশ্যেই পরিকল্পিতভাবে বিলকিসকে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ ধারণা করছে।

পুলিশ সুপার বলেন, বিলিকিসের পূর্ব পরিচিত ও বন্ধু লিপি আক্তার (২০) ও তার স্বামী মো: কবির হোসেন (৩০) দু’জনে হত্যার মাস্টারমাইন্ড বা পরিকল্পনাকারী। পরিকল্পনা অনুযায়ী, লিপি শুক্রবার বিলকিসের বাড়িতে আসেন। রাত ১০টার দিকে বিলিকিসের ছেলে ও মেয়ে ঘুমিয়ে পড়লে তার তিন সহযোগীকে বন্ধু পরিচয় দিয়ে বাড়িতে ঢোকায়। আড্ডা দেয়ার একপর্যায়ে তারা বিলকিসকে ঘুমের ওষুধসহ পানীয় খাওয়ায়। অজ্ঞান হয়ে গেলে রিয়াজ নামে একজন বিলকিসকে ধর্ষণ করে। এরপর তারা বিলকিসের হাত, পা ও মুখ বেঁধে গলায় গামছা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। রাত ৪টার দিকে চারজনই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়।

এ দিকে হত্যা মামলার তদারকি কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর সাহা জানান, হত্যাটি ছিল ক্লুলেস। এদের কাছ থেকে চুরি হওয়া তিনটি মোবাইল ফোন, একটি স্বর্ণের পায়েল, তিনটি স্বর্ণের কানের রিং, একটি স্বর্ণের ব্রেসলেট, একটি স্বর্ণের লকেট, দুটি স্বর্ণের দুল, একটি রূপার নূপুর ও পাঁচ হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছে।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান জানান, প্রথমে সাভারের আশুলিয়া থেকে আখিমনি লিপিকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেয়া তথ্যমতে, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেফতার করা হয় বাকি তিনজনকে।

পুলিশ সুপার জানান, এ ঘটনায় বিলকিসের বাবা মজেম বেপারী হত্যা মামলা করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদে আটক চারজনই ঘটনার সাথে তাদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে রাজি হয়েছেন।

তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে আদালতে আসামিদের সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।
রিলেটেড সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *