সিঙ্গাপুর বিশ্বের প্রথম দেশ, যারা কোভিড-১৯ লাশের ময়নাতদন্ত করতে সক্ষম হয়েছে। তদন্তের পরে দেখা গেছে, কোভিড-১৯ ভাইরাস হিসেবে বিদ্যমান নয়, বরং এটি একটি ব্যাকটিরিয়াম যা বিকিরণের সংস্পর্শে এসে রক্তকে জমাট বাঁধিয়ে মানুষের মৃত্যু ঘটাচ্ছে। কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের শিরায় রক্ত জমাট বাঁধার কারণে ওই ব্যক্তির পক্ষে শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়, কারণ মস্তিষ্ক, হৃৎপিণ্ড এবং ফুসফুস অক্সিজেন গ্রহণ করতে পারে না, ফলে মানুষ মারা যায় দ্রুত। শ্বাসযন্ত্রের শক্তির ঘাটতির কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকরা হু-এর প্রটোকল মানেননি এবং মৃত কোভিড-১৯ রোগীর ময়নাতদন্ত করেছেন। চিকিৎসকরা হাত-পা এবং শরীরের অন্যান্য অংশগুলোর ব্যবচ্ছেদ করার পরে দেখেছেন, রক্তনালীগুলোতে একাধিক জায়গায় রক্ত জমাট বেঁধে রয়েছে, যার জেরে অক্সিজেন সরবরাহ বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। অক্সিজেনের ঘাটতির ফলে রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনা প্রত্যক্ষ করার পর সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রক কোভিড-১৯ এর চিকিৎসার প্রটোকল পরিবর্তন করেছে এবং পজেটিভ রোগীদের অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধ দিতে শুরু করেছে। সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকরা কোভিড রোগীদের ১০০ মিলিগ্রাম ইম্রোমাক ওষুধ দেয়া শুরু করেন। ফলস্বরূপ, রোগীরা সুস্থ এবং তাদের স্বাস্থ্যের উন্নতি হতে শুরু করে। সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রক একদিনে ১৪ হাজারেরও বেশি রোগীকে সারিয়ে তাদের বাড়িতে পাঠাতে সক্ষম হয়েছে।
বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের পরে সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকরা ব্যাখ্যা করেছেন, কোভিড-১৯ ধরা পড়লে তাই রক্তনালীগুলোর ভেতরে রক্ত জমাট বাঁধা আটকাতে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করতে হবে। অ্যান্টিবায়োটিক ট্যাবলেট, অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং এসপিরিনের মতো অ্যান্টিকোয়াগুল্যান্ট নিতে হবে। এই চিকিৎসা পদ্ধতি অবলম্বন করলে ভেন্টিলেটর এবং আইসিইউ’র দরকার পড়বে না। এই চিকিৎসা পদ্ধতি ইতিমধ্যেই সিঙ্গাপুরে প্রকাশিত হয়েছে। চীন এটি আগে থেকেই জানে, কিন্তু তারা কখনো এই খবর প্রকাশ করেনি।
সূত্র: সিঙ্গাপুর স্বাস্থ্য মন্ত্রক