ইসলামি বক্তা আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনানকে খুঁজে পাওয়ার পর আজ শুক্রবার বিকাল পৌনে ৫টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করছে রংপুর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এতে জানানো হয়, নিখোঁজ ত্ব-হা ‘ব্যক্তিগত কারণে’ গাইবান্ধায় তার বন্ধুর বাসায় আত্মগোপনে ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে রংপুর মহানগর পুলিশের (আরএমপি) ক্রাইম ডিভিশনের উপ-কমিশনার আবু মারুফ হোসেন এ তথ্য জানান। গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, নিখোঁজের পর তারা গাইবান্ধায় ছিলেন। তাকে আদালতে তোলা হবে।
এর আগে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আবু ত্ব-হাকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। আট দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর শুক্রবার দুপুরে আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনানকে তার শ্বশুরের বাসায় পাওয়া যায়।
রংপুর মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ জানান, তাকে রংপুর নগরের আবহাওয়া অফিস সংলগ্ন মাস্টার পাড়ার শ্বশুরবাড়ি থেকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
তাকে রংপুর নগরের আবহাওয়া অফিস সংলগ্ন মাস্টার পাড়ার শ্বশুরবাড়ি থেকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে বেলা পৌনে ৩টার দিকে তাকে রংপুর নগরীর কোতোয়ালি থানায় নেওয়া হয়। এরপর তাকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। সেখানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কোতোয়ালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওসি আব্দুর রশিদ জানান, আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনানকে থানা থেকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। তার সঙ্গে নিখোঁজ হওয়া অন্য তিনজনকেও নিজ নিজ বাড়ি থেকে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে। সেখানে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
খোকন নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে তিনি নগরীর মাস্টারপাড়ায় আবু ত্ব-হাকে দেখেন। কিন্তু ত্ব-হা সে সময় কোনো কথা বলেননি। মুখে আঙুল দিয়ে চুপ থাকতে বলেন তিনি।
রংপুরে ওয়াজ মাহফিল শেষে ঢাকার বাসায় ফেরার পথে আবু ত্ব-হাসহ চারজন নিখোঁজ হন বলে অভিযোগ ছিল। আবু ত্ব-হার পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছিল, ঢাকার গাবতলী থেকে তারা নিখোঁজ হন। আবু ত্ব-হার সঙ্গে নিখোঁজ হয়েছিলেন আরও তিন জন। এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে তাদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।
আবু ত্ব-হার সঙ্গে আরও যারা নিখোঁজ হয়েছিলেন তারা হলেন- আব্দুল মুকিত, মোহাম্মদ ফিরোজ ও গাড়িচালক আমির উদ্দিন ফয়েজ। আদনানের পরিবার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সূত্রে জানা গেছে আদনানের বিভিন্ন ইসলামিক অনুষ্ঠান ও মাহফিলে তারা থাকতেন। এই তিনজনের সঙ্গে আদনানের সখ্যতা ছিল।