বাংলাদেশে সুশাসন আজ কবরে: জাফরুল্লাহ

Slider রাজনীতি

গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, দেশে আজকে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা মানেই এক দিনের ভোট না। গণতন্ত্রই হচ্ছে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা। বাংলাদেশে সুশাসন আজ কবরে। বুধবার দুপুরে রাজধানীর পুরানো পল্টনস্থ ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম হলে ‘সুশাসনে গণতন্ত্রের বিকল্প নেই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আজকে নারীরা রাস্তায় বেরিয়ে না আসলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে না। সবাইকে মেয়েদেরকে সমান চোখে দেখতে হবে। নারীদের যদি আপনার সমান চোখে না দেখেন তাহলে বাংলাদেশে কখনো গণতন্ত্র আসবে না। সবাইকে জিনিসটা মাথায় রাখতে হবে যে আমাদের ছেলেরা যে সুবিধাটা পাবে আমাদের মেয়ে ঠিক যেমন তেমন সুবিধা পাবেন।
একজন নারী তো আমাদের শাসন করছেন। আর একজন নারীতো জেলেও আছেন।
তিনি বলেন, জালেমের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হবে জালিমদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে হবে। সবাই বলে ভারতের সঙ্গে আমাদের রক্তের সম্পর্ক মশার সঙ্গে আমাদের রক্তের সম্পর্ক রয়েছে। ভারত স্বাধীনতা যুদ্ধে আমাদের সহযোগিতা করেছে এজন্য আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। কিন্তু স্বাধীনতার প্রথম বছরে তারা আমাদের জন্য যা খরচ করে এসব গুলো তুলে নিয়েছে।

গণস্বাস্থ্যের এই ট্রাস্টি বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বাংলাদেশের ৩০ লাখ লোক কোথায় মারা গেছে? বেশিরভাগই ভারতে মারা গেছে রিফিউজি ক্যাম্পে। সেখানে ঠিক কতোজন মারা গেছে আজ পর্যন্ত তারা সে তালিকা আমাদের দেয়নি। ভারত নাকি আমার বন্ধু। এটাই কি বন্ধুর নমুনা। যেখানে আমার নিখোঁজ ভাইয়ের নাম পাই না। যদি জানতাম তাহলে জাতিকে বলতে পারতাম আমার ভাই, আমার বোন আমার বাবা এই জাতির জন্য আত্মত্যাগ করেছে। আজকে ভারত প্রতিটা পদে পদে আমাদের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।
বঙ্গবন্ধু এদেশে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছেন মন্তব্য করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের প্রাণের মানুষ। প্রাণের মানুষ বলেই অনেক সময় ভুল করেন তিনি। বঙ্গবন্ধুর জীবনের বড় ভুল যে তিনি গণতন্ত্রকে কবর দিয়েছেন। তিনি গণতন্ত্রের জন্য জীবন দিয়েছেন, এর জন্য বছরের পর বছর জেল খেটেছেন। সারা দেশব্যাপী মানুষকে জাগ্রত করেছেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তিনি ভারতীয়দের প্ররোচনায় ওনার শখ হয়েছিল ওনার আজীবনের জন্য প্রেসিডেন্ট হওয়ার। যেটা গণতন্ত্র হত্যার শামিল। যারা আজকে হাসিনাকে তাল দিচ্ছে, দেশ জননী বানাচ্ছে, কওমী জননী বানাচ্ছে, তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলো।

জাফরুল্লাহ বলেন, গতকাল ঢাকার আদালতে ৫৪ জন ছাত্রের জামিন আপিল আবেদনের সময়সূচি ছিলো। কিন্তু কোমর ভাঙা জর্জ সাহেব তাদের জামিন দেননি। এই জর্জ সাহেবের বিচার রাস্তার মাঝখানে এনে করতে হবে। লোকজন তাদের ন্যাংটা করে তাদের গায়ে থুথু দেবে। সাংবাদিক রোজিনা একদিনের মধ্যে জামিন পেতেন। কিন্তু জামিন দেরি করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ওহি পাঠান আইনমন্ত্রীর কাছে। তার জামিন পেতে এক সপ্তাহ লাগলো কেন সেটা জবাব দিতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *