শ্রীপুরে ক্ষেতের আইল চলাচল একমাত্র ভরসা

Slider গ্রাম বাংলা

রাতুল মন্ডল নিজস্ব প্রতিনিধি: বাড়ি থেকে বেড় হয়ে ক্ষেতেল আইল ধরে পায়ে হেঁটে উপজেলা শহর বা যে কোন কর্মের জন্য যেতে হয় বীর মুক্তিযুদ্ধা সাহাব উদ্দিনকে। রাস্তা না থাকায় ক্ষেতের আইল বেয়ে যুগের পর যুগ দু’পায়ে হেঁটে বাড়ি থেকে বেড় হতে হচ্ছে লাল সবুজের পতাকা উপহার দেয়া বীর সাহাব উদ্দিনকে।

শিল্পখ্যাত গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কেওয়া পূর্ব খন্ড গ্রামের রণাঙ্গনের সাহসী বীর সৈনিক সাহাব উদ্দিন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে জীবন বাজি রেখে ৩নং সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন তিনি। নিজের সাহসিকতা আর বীরত্বের জন্য তর্তকালীন সরকার এই বীরকে দিয়েছিলেন সরকারি জমি বন্দোবস্ত।

আর সেই জমিতে গড়ে তুলেছেন নিজে থাকার ঘর বাড়িসহ মসজিদ মাদ্রাসা। সময়ের সাথে সাথে পাল্টে গেছে শ্রীপুর উপজেলার কেওয়া গ্রামের মানুষের জীবনমান। তার সাথে বেড়েছে জমির দাম। মুক্তিযুদ্ধা সাহাব উদ্দিন জানানা, ২০০৯ সালে শ্রীপুর উপজেলা মুক্তিযুদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব ফজলুল করিম প্রয়াত সাংসদের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধার বাড়ির রাস্তা অনুমোদন করা হয়। এর পর ২০১১ সালে পূনরায় বর্তমান কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম স্থানীয় সাংসদের মাধ্যমে রাস্তা করার অনুমোদন পেলেও স্থানীয় প্রভাবশালী নূরুল

বাঁধার মুখে রাস্তার কাজ মাঝ পথে এসে থেমে গেছে।
২০০৯ ও ২০১১ সালে প্রয়াত সাংসদ এডভোকেট রহমত আলী এমপির মাধ্যমে বাড়িতে প্রবেশের জন্য একটি রাস্তা অনুমোদন দেন। কিন্তু রাস্তার মাঝে স্থানীয় প্রভাবশালী নূরুল হকের জমি থাকায় রাস্তা নির্মাণে বাঁধ প্রধান করায়, আজও বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ক্ষেত্রের আইল বেয়ে বাড়ি থেকে বেড় হতে হয়।

ঐ প্রভাবশালীকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ এলাকার লোকজন সুপারিশ করলেও এর কোন ফল পাননি তিনি। বিষয়টি সম্পর্কে জানেন। তাদের হস্তক্ষেপেও আমি চলাচলের রাস্তা পাচ্ছি না।

বাড়িতে প্রবেশের তেমন কোন রাস্তা না থাকায় ১৯৬৯ সাল থেকে ক্ষেতের আইল দিয়ে চলাচল করছেন একজন রণাঙ্গনের সাহসী বীর। কেওয়া পশ্চিম খন্ড গ্রামের মৃত ইউনুস আলীর ছেলে, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ফজলুর করিম সাহাব উদ্দিন।

সরজমিন ঘুরে জানাযায়, একটি রাস্তার জন্য ঐ এলাকায় প্রায় শতাধিক পরিবার দু’পায়ে হেঁটে ক্ষেরের আইন বেয়ে যেতে হয় বিভিন্ন কর্মস্থলে। বিশেষ করে স্কুল পড়ুয়া শিশুদের যাতায়াতে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয় তাদের। এই রাস্তাটি দ্রুত সময়ে করার দাবি জানান মুক্তিযুদ্ধাসহ স্থানীয়রা।

শ্রীপুর পৌর মেয়র আনিছুর রহমান বলেন, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়ির রাস্তা নির্মাণে বাঁধা খুবই দুঃখজনক। দ্রুত সময়ের মধ্যে আমি এর সমাধান করবো।
শ্রীপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা তসলিমা মোস্তারী জানান, এবিষটি আমার জানা নেই। বিস্তারিত জেনে মুক্তিযুদ্ধার রাস্তা নির্মাণের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা করবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *