প্রকৃতির বিপরীতে হাঁটতে গেলে প্রকৃতি এর নিষ্ঠুর প্রতিশোধ নেবেই–করোনা নিয়ে যা বলেছিলেন কবরী

Slider লাইফস্টাইল

ঢাকা: সালটা ১৯৬৪। সুভাষ দত্তের সুতরাং সিনেমা দিয়ে কিশোরী এক বালিকার অভিষেক ঘটে। এরপরের ইতিহাস সবারই জানা। নাম তার মিনা পাল থেকে কবরী। সেই যে শুরু। আর পেছনে তাকাতে হয়নি। এই মন জয় করা নায়িকা গত কয়েক মাস কীভাবে কাটিয়েছেন। তা নিয়েই এ প্রতিবেদন।

কিংবদন্তি অভিনেত্রী কবরীর কাছে জানতে চেয়েছিলাম- করোনাকালে তার জীবন কেমন কাটছে?

তিনি বলেন, আসলে বলার কিছু নেই, এই মহামারী নিয়ে হতাশ হলেই সব শেষ। কাজে যেতে ভয় হয়। বেশিরভাগ সময়ই অনেককেই ঘরবন্দী হয়ে থাকতে হয়। বলা হচ্ছে মানুষ সচেতন হচ্ছে না বলেই করোনার প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। আমি বলব সচেতনতা তৈরির মতো সঠিকভাবে কাজ করছেন না দায়িত্বশীলরা।

রেডিও-টিভিতে যে প্রচারণা চালানো হচ্ছে তা কি ঠিক হচ্ছে? বলতে গেলে ভয় মিশ্রিত প্রচারণা চালাতে গিয়ে মানসিকতা নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে। টিভি-রেডিও খুললেই করোনা নিয়ে নেতিবাচক কথা শুনতে শুনতে একদিকে মানুষ আতঙ্কিত অন্যদিকে বিরক্ত হচ্ছে। এর জন্য প্রয়োজন সরকার এবং জনপ্রতিনিধিদের এলাকাভিত্তিক কাউন্সিলিং। কারণ সবাই তো শিক্ষিত নয়।

আবার করোনা প্রতিরোধে যা প্রয়োজন এবং শরীরের সক্ষমতা বাড়াতে যে খাদ্য দরকার দরিদ্র মানুষের পক্ষে তা কেনা সম্ভব নয়। সরকার এবং জনপ্রতিনিধিদের পাশাপাশি বিত্তবানদেরও এদের সেবায় বিপুলভাবে এগিয়ে আসতে হবে।

গত বছরের ১৭ মার্চ আমার পরিচালিত দ্বিতীয় ছবি ‘এই তুমি সেই তুমি’র শুটিং শুরু করেছিলাম। করোনার কারণে বার বার কাজ বন্ধ রাখতে গিয়ে সময়মতো নির্মাণ কাজ শেষ করতে পারাছি না। এখন বাসায় বসে দেশ জাতি আর ব্যক্তিগত নানা বিষয় নিয়ে শুধু ভাবছি, কি করব বুঝতে পারছি না। এমন দম বন্ধ অবস্থায় লেখালেখিতেও মন বসছে না।

সব শেষে বলতে হয় করোনা আমাদের শিখিয়ে দিয়েছে প্রকৃতির ওপর কারও হাত নেই। প্রকৃতির বিপরীতে হাঁটতে গেলে প্রকৃতি এর নিষ্ঠুর প্রতিশোধ নেবেই। তাই সবার নিয়মতান্ত্রিক ও শৃঙ্খলিত জীবনযাপনে অভ্যস্ত হওয়া উচিত।

সেই কবরী আর নেই। শুক্রবার রাত ১২টা ২০ মিনিটে না ফেরার দেশে চলে গেছেন। তার মৃত্যুতে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *