হঠাৎ চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় মাওলানা মামুনুল

Slider জাতীয়

Children look at their school ground as they wait for class on the first day of school reopening on December 7, 2020 in the Brooklyn borough of New York City. – The novel coronavirus has killed at least 1,535,987 people since the outbreak emerged in China last December, according to a tally from official sources compiled by AFP at 1100 GMT on Monday. The US is the worst-affected country with 282,324 deaths. (Photo by Angela Weiss / AFP)

ঢাকা: বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের বিরোধিতাকারী বিতর্কিত হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হক আকস্মিকভাবে চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসা ঘুরে গেছেন। চট্টগ্রামে যাকে প্রবেশ করতে না দিতে মাত্র ১২ দিন আগেও রাজপথ তীব্র উত্তাল ছিল সেই মামুনুল হক বুধবার বিকালে হাটহাজারী মাদ্রাসায় আসেন।

সফরকালে তিনি হেফাজতের প্রয়াত আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীর কবর জিয়ারতের পাশাপাশি সংগঠনের নতুন আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী এবং মাদ্রাসার শুরা কমিটির সদস্য মাওলানা শেখ আহমদ ও মাওলানা ইয়াহিয়ার সাথে পৃথকভাবে সাক্ষাৎ করেন।

সাক্ষাতে তাদের মধ্যে কী আলোচনা হয়েছে তা জানা না গেলেও ধারণা করা হচ্ছে যে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যবিরোধী বক্তব্যের জেরে হওয়া মামলার বিষয়ে আলোচনা করতে তিনি ঢাকা থেকে হাটহাজারী আসেন।

হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মাওলানা জাকারিয়া নোমান ফয়েজী বলেন, ‘মাওলানা মামুনুল হক বিকালে হাটহাজারী মাদ্রাসায় এসেছিলেন। তিনি আল্লামা শাহ আহমদ শফি হুজুরের কবর জিয়ারত এবং হেফাজতের বর্তমান আমিরসহ অন্য হুজুরদের সাথে সাক্ষাৎ করে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন। এরপর বিকাল ৫টার দিকে তিনি নিজ গাড়িতে করে ঢাকায় ফিরে যান।’

গত ১৩ নভেম্বর রাজধানীর বিএমএ অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে শানে রিসালাত কনফারেন্সে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ও বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মামুনুল হক প্রকাশ্যে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করে বক্তব্য দেন।

এ ঘটনায় সারা দেশে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক। গত ২৭ নভেম্বর হাটহাজারীতে মাহফিলে যোগ দেয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু চট্টগ্রাম মহানগর ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠন মামুনুল হকের চট্টগ্রাম আগমন ঠেকাতে প্রতিরোধ কর্মসূচি ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে। রাজপথে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের তীব্র বাধার কারণে ও প্রশাসনের চাপের মুখে মামুনুল হক সে দিন মাহফিলের মঞ্চে উপস্থিত হননি।

এদিকে, গত ৭ ডিসেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদারের আদালতে জুনায়েদ বাবুনগরী, মামুনুল হক ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির সৈয়দ ফয়জুল করীমের বিরুদ্ধে দুটি রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা দায়ের করা হয়। আদালত মামলা দুটি তদন্ত করতে পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছে।

সূত্র : ইউএনবি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *