স্কুল খোলা রাখার আহ্বান ইউনিসেফের

Slider শিক্ষা
Children look at their school ground as they wait for class on the first day of school reopening on December 7, 2020 in the Brooklyn borough of New York City. – The novel coronavirus has killed at least 1,535,987 people since the outbreak emerged in China last December, according to a tally from official sources compiled by AFP at 1100 GMT on Monday. The US is the worst-affected country with 282,324 deaths. (Photo by Angela Weiss / AFP)

করোনাকালে বিশ্বব্যাপী স্কুল বন্ধ রাখায় বিশ্বে শিক্ষা সংকট দেখা দিয়েছে, ফলে করোনা সত্ত্বেও স্কুল খোলা রাখার আহ্বান জানিয়েছে, ইউনিসেফ।

করোনা মহামারীর সময়ও বিশ্বের সর্বত্র স্কুল খোলা রাখার কথা বলেন জার্মানির ইউনিসেফ শাখার প্রেস অফিসার ক্রিস্টিনে কাহমান। মঙ্গলবার তিনি বলেন, জোর করে স্কুল বন্ধ রাখার কারণে বিশ্ব শিক্ষা সংকটের কবলে পড়েছে। তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী স্কুল বন্ধ করার ফলে শিক্ষা সঙ্কট ছাড়াও আগামী কয়েক দশক ধরে বহু দেশের সমাজে এর প্রতিফলন থাকতে পারে। যার পরিণতিতে বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হবে শিশুরা বিশেষ করে প্রান্তিক শিশুরা।’

সাম্প্রতিক দশকগুলোতে যেসব গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে তা পিছিয়ে যাওয়ার ফলে বৈষম্য বাড়ার আশঙ্কাও করছেন তিনি। ক্রিস্টিনে কাহমান বলেন, ‘শিশুরা দীর্ঘদিন স্কুলের বাইরে থাকার ফলে তাদের পড়াশোনার যেমন ক্ষতি হবে তেমনি তাদের স্কুলে ফেরার আগ্রহও কমে যাবে, যার পরিণতি তাদের সারা জীবন বহন করতে হবে।’ শিশুরা স্কুলে না যাওয়ার কারণে যে সহিংসতা বাড়ে তা আগের সংকটগুলোতেও দেখা গেছে।

ক্লাসরুম সংক্রমণমুক্ত ধরে নিয়ে জার্মানি সর্বশেষ লকডাউনের ব্যবস্থা গ্রহণের পরে স্কুল খোলা হয়। তবে নভেম্বরের মধ্যেই তিন লাখেরও বেশি শিক্ষার্থীকে কোয়ারেন্টিনে যেতে হয়। এবং তারপরেও জার্মানির সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য নর্থ রাইন-ওয়েস্টফালিয়ার ১০টি স্কুলের মধ্যে একটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিন্তু জার্মানির সর্বোচ্চ দৈনিক সংক্রমণের হার বাভারিয়া রাজ্য বুধবার থেকে আংশিকভাবে ক্লাস বন্ধ রাখার পরিকল্পনা করছে। সংক্রমণের হার আরো বেড়ে গেলে এইট থেকে ওপরের ক্লাসের শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুল এবং অনলাইন ক্লাসের মধ্যে বিকল্প ব্যবস্থা বেছে নেয়া হবে।

তবে ফ্রান্সে লকডাউন মোটামুটি কঠোর থাকলেও স্কুল খোলা রয়েছে। গবেষণার ফলাফল থেকে জানা যায়, মহামারী বিস্তারে স্কুলের ভূমিকা তেমন বড় নয়। ছোট বাচ্চাদের চেয়ে বড়দের সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। তাছাড়া বিশ্বব্যাপী স্কুল এবং ডে কেয়ার সেন্টারগুলো সতর্ক থাকায় পুনরায় খোলার পরেও ভাইরাসের বিস্তার ঘটেনি।

সূত্র : ডয়েচে ভেলে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *