সার পুকুর প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থার সহযোগিতায় প্রতিবন্ধী দুই ভাইকে বাড়ি করে দিলেন জেলা প্রশাসক

Slider গ্রাম বাংলা


হাসানুজ্জামান হাসান,লালমনিরহাট প্রতিনিধি: লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার উত্তর সির্ন্দুনা গ্রামের পন্ডিতপাড়া এলাকার দৃষ্টি প্রতিবন্ধী দুই ভাই শাহিন মিয়া ও সাজু মিয়া। তিস্তা নদীর ভাঙ্গনে তাদের বসত বাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। রাস্তার ধারে ছোট ভাই শাহাজাতের বাড়িতে তাদের বসবাস। ৪ মাস আগে তাদের অধিকার ভিক্তিক প্রশিক্ষন দিতে গিয়ে এ দৃশ্য দেখতে পায় প্রতিবন্ধী গবেষক ও প্রশিক্ষক রুকশাহানারা সুলতানা মুক্তা। পরে প্রতিবন্ধী দুই ভাইকে নিয়ে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফরের কাছে হাজির হন রুকশাহানারা সুলতানা মুক্তা। দুই ভাইয়ের কাছে বিস্তারিত শুনে বসত বাড়ি নির্মাণ করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন জেলা প্রশাসক আবু জাফর।

সম্প্রতি ‘জমি আছে ঘর নেই’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ প্রকল্পের মাধ্যমে ওই দুই দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ভাইকে বসত বাড়ি নির্মাণ করে দেয়ার উদ্যোগ নেয় হাতীবান্ধা উপজেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বসত বাড়ি নির্মাণের কাজ চলমান। ১০/১৫ দিনের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ হবে। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার উপহার বসত বাড়ি পেয়ে বেশ খুশি শাহিন মিয়া ও সাজু মিয়া।

দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শাহিন মিয়া ও সাজু মিয়া বলেন, অনেক দিন মেম্বার চেয়ারম্যানদের বাড়ি বাড়ি গিয়েছি। কিন্তু কেউ একটি ঘর দেয়নি। পরে মুক্তা আপার মাধ্যমে ডিসি স্যার আমাদের ঘর করে দেয়ার আশ্বাস দেয়। ডিসি স্যারের মাধ্যমে আমরা প্রধান মন্ত্রীর এ উপহার পেয়েছি এজন্য আমরা কৃতজ্ঞ। আমাদের এখন আর বাড়ি নিয়ে চিন্তা নেই। আমরা এক ভাই মুদির দোকান, এক ভাই গাভী পালনের প্রশিক্ষন নিয়েছি। আমরা ভিক্ষা নয়, ব্যবসা করে বাঁচতে চাই।

প্রতিবন্ধী প্রশিক্ষক ও গবেষক রুকশাহানারা সুলতানা মুক্তা বলেন, আমার প্রতিষ্ঠিত সার পুকুর প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থা জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সহযোগিতা নিয়ে জেলার প্রতিবদ্ধীদের পুনঃবাসনে কাজ করছি। শাহিন ও সাজু মুদির দোকান ও গাভী পালনে প্রশিক্ষন নিয়েছেন। স্থানীয় প্রশাসন সহযোগিতা করলে তাদের পুনঃবাসন করা সম্ভব।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, দেশে কেউ গৃহহীন থাকবে না বলে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শাহিন ও সাজুকে বসত বাড়ি নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেয়ার চেষ্টাও আমরা করবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *