জরিপে পিছিয়ে থাকলেও এগুচ্ছেন ট্রাম্প, যেতে পারেন কোর্টেও, সহিংসতার আশংকা

Slider জাতীয়

গোটা বিশ্বের অপেক্ষার পালা শেষ করে মঙ্গলবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হতে যাচ্ছে এক অভূতপূর্ব নির্বাচন। ডনাল্ড ট্রাম্প, জো বাইডেন, তাদের রানিং মেট এবং তাদের স্ত্রীরা আজ অর্থাৎ প্রচারণার শেষ দিনটিতে ব্যাটলগ্রাউন্ড বলে পরিচিত ফল নির্ধারক রাজ্যগুলোতে ভোটারদের কাছে ভোট চাইতে চষে বেড়াচ্ছেন। বাইডেনের বন্ধু এবং সাবেক বস বারাক ওবামাও আজ তার পক্ষে মাঠে সরব।

মজার বিষয় হচ্ছে, দুই প্রেসিডেন্ট প্রার্থী এবং তাদের রানিং মেট বা ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থীরা সবাই (বাইডেনের স্ত্রী জিলসহ) আজ পেনিসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে প্রচারণা চালাচ্ছেন। কারণ দুই দলই ভাবছে সেখানে তাদের জয়ের সম্ভাবনা আছে। পেনিসিলভানিয়ায় ২০টি ইলেক্টোরাল ভোট রয়েছে। ২০১৬ সালে ট্রাম্প হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে সেখানে জয় পেয়েছিলেন। জরিপগুলো বলছে, বাইডেন সামান্য ব্যবধানে জিতে যাবেন কিন্তু শেষ মুহূর্তে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা আছে। অবশ্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পেনসিলভেনিয়াসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে ‘প্রয়োজনে’ ভোট গণনা বন্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার হুমকিও দিয়ে রেখেছেন।

অন্যান্য অঙ্গরাজ্যে চালানো বেশিরভাগ জরিপে এখনো বাইডেন এগিয়ে, তবে গুরুত্বপূর্ণ অনেক অঙ্গরাজ্যে ট্রাম্পের সাথে তার ব্যবধান কমে আসছে।
ট্রাম্পকেও অনেক আত্মবিশ্বাসী মনে হচ্ছে। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, নির্বাচনের পর দেশের শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্টনি ফাউসিকে বরখাস্ত করতে পারেন।

জানা গেছে রেকর্ড প্রায় সাড়ে নয় কোটি ভোটার ইতিমধ্যে ডাকযোগে কিংবা সরাসরি ভোটকেন্দ্রে গিয়ে আগাম ভোট দিয়ে ফেলেছেন যা বিগত নির্বাচনের (২০১৬) মোট প্রদেয় ভোটের দুই-তৃতীয়াংশের বেশী।

তাই গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাধারণত নির্বাচনের দিন রাতে কিংবা পরদিনই ফলাফল পাওয়া গেলেও এবার তার ব্যতিক্রম। কারণ এবার ডাকযোগে দেয়া বিপুলসংখ্যক ভোট গণনার জন্য অনেক বেশি সময় লাগতে পারে, এবং কিছু রাজ্যে নির্বাচনের আগের দিন পর্যন্ত এই গণনা শুরু হবে না, ফলে সেসব রাজ্য থেকে ফলাফল পেতে নিশ্চিতভাবেই বিলম্ব হবে। সেক্ষেত্রে প্রাথমিক ফলাফলে একজন প্রার্থী এগিয়ে থাকলেও পরে সেটা বদলেও যেতে পারে। তাই এখনই বলা যাচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্টের নাম ঠিক কবে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে।

এদিকে করোনাভাইরাস যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় আড়াই লাখ মানুষের প্রাণ এবং দুই কোটি নাগরিকের চাকরি কেড়ে নিয়েছে৷ করোনা যে ভোট এবং পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করবে তা বলাবাহুল্য। এছাড়া নির্বাচনে যে-ই জিতুন না কেন দুই পক্ষ থেকেই সহিংসতার আশঙ্কা করছেন অনেকে। অনেক সংগঠন ভোট গণনায় ‘কারচুপি’ হলে তা প্রতিহতের আগাম ঘোষণাও দিয়ে রেখেছে। সব মিলিয়ে এমন নির্বাচন কেউ দেখেনি আগে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *