🚷”পরীক্ষার চেয়ে জীবন বড় করোনাকালীন পরীক্ষা বন্ধ কর”🚷

একেতো করোনা আক্রান্ত হওয়ার টেনশন তারউপর পরীক্ষার টেনশন সব মিলিয়ে বাচ্চারা আজ মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছে।এ অবস্থায় কেমন করে পরীক্ষা দেয়া সম্ভব?

আমাদের এই ১৩ লক্ষ বাচ্চাদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলার অধিকার কারো নাই।

বাচ্চাদের সাথে আমিও একমত অবশ্যই “করোনার মধ্যে পরীক্ষা নয়”কারণ করোনার মধ্যে যদি পরীক্ষা নেয়ারই হতো তবে অবশ্যই শুরুর দিকে যখন আক্রান্তের সংখ্যা কম ছিল তখন নেয়া উচিত ছিল।এখনও পর্যন্ত প্রতিদিন ৪০/৫০ জন মারা যাচ্ছে।২/৩ হাজার আক্রান্ত হচ্ছে।তারপরেও কর্তৃপক্ষ কিভাবে এই করোনাকালীন সময়ে পরীক্ষা নেয়ার স্বপ্ন দেখছেন এটা আমার বোধগম্য নয়।

আমি একজন এইচ এস সি পরীক্ষার্থীর মা।আমার কাছে পরীক্ষার চেয়ে আমার সন্তানের জীবনের মূল্য অনেক বেশি।তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমার বাচ্চাকে এই করোনাকালীন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দিব না।

মাননীয় কর্তৃপক্ষ আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে আপনাদের কজনের সন্তান এইচ এস সি পরীক্ষা দিচ্ছে?
সম্ভবত একজনও না।যদি একজনও পরীক্ষা দিত তবে এত বড় ঝুঁকি নেয়ার সাহস দেখাতে পারতেন না।

আপনাদের কাছে আমার বাচ্চা একটা সংখ্যা মাত্র।কিন্তু আমার কাছে সাত রাজার ধন,আমার কলিজার টুকরা।

এই তের লক্ষ বাচ্চাই আমার কলিজার টুকরা। কারণ আমি একজন মা।মায়ের কাছে সব সন্তানই সমান।

মাননীয় কর্তৃপক্ষ আপনারা কি নিশ্চয়তা দিতে পারবেন এই ১৩ লক্ষ শিক্ষার্থীর মধ্যে কেউ করোনা আক্রান্ত নয়?

প্রতি কেন্দ্রে যদি একজনও কোভিড পজিটিভ হয় তাহলে যতই স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নেন শেষ রক্ষা কি আদৌ হবে?

কোনো পরীক্ষার্থী যদি কোভিড আক্রান্ত হয়ে অর্ধেক পরীক্ষা না দিতে পারে তার দায়ভার কে নেবে?

করোনা কালীন এই জীবননাশক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে কোনো মা যদি সন্তানহারা হয় পারবেন কি মায়ের কোলে তার সন্তানকে ফিরিয়ে দিতে?

এবার ঠাণ্ডা মাথায় ভাবুন আমাদের বাচ্চাদের পরীক্ষা জরুরি নাকি তাদের বেঁচে থাকা জরুরি?

এই দুর্যোগপূর্ণ সময়ে অটোপাশের কি ব্যবস্থা করা যায় না?আর যদি নাই যায় তবে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক তারপর শান্তিমতো পরীক্ষা নিয়েন।

বেঁচে থাকলে পরীক্ষা দিতে পারবে।করোনা কালীন এইসব উদ্ভট সিদ্ধান্ত বাদ দিয়ে আমাদের বাচ্চাদেরকে বাঁচান।করোনাকালীন পরীক্ষার টেনশনে তারা এখন মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছে।বাচ্চাদেরকে সুস্থ ভাবে বাঁচতে দিন।

আশাকরি মাননীয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বিবেচনা করবেন।

খায়রুননেসা রিমি