মির্জাপুরের মেজর কাজী ফারুক হোসেন মারা গেলেন

Slider ফুলজান বিবির বাংলা

সাইফুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন কাজী ফারুক হোসেন। কাজী ফারুক হোসেন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

মেজর কাজী ফারুক এর বাড়ি মির্জাপুর উপজেলার বানাইল ইউনিয়নের বাংগলা গ্রামে।আর তিনি ওই গ্রামের কাজী আলতাফ হোসেনের ছেলে।

এদিকে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার সিএমএইচে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন তিনি। এরপর শনিবার বাদ জোহর নিজ গ্রামে সামাজিক কবরস্থানে সামরিক মর্যাদায় তার মরদেহ দাফন করা হয়েছে।

এছাড়াও জানা গেছে যে, “তিনি দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। আর গুরুতর অবস্থায় তাকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়েছে। ফলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে তিনি মারা গেছেন।”

তার মৃত্যুকালে তিনি মা, স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়ে, দুই ভাই ও দুই বোনসহ বহু গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

গত শনিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা থেকে সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারযোগে কুমুদিনী হাসপাতালের মাঠে তার লাশ আনা হয়েছিল। আর সেখান থেকেই সেনাবাহিনীর অ্যাম্বুলেন্সযোগে লাশ গ্রামের বাড়ি বাংগলা নেয়া হয়েছিল। মেজর ফারুকের মরদেহ এলাকায় পৌঁছলে গ্রামবাসী কান্নায় ভেঙে পড়েন। এরপর বাদ জোহর তার নামাজে জানাজা শেষে সেনাবাহিনীর একটি দল তার কফিনে গার্ড অব অনার ও সামরিক মর্যাদা দেয়া হয়েছে।

এরপরে বাংগলা গ্রামের কেন্দ্রীয় কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়েছে। আর এ সময় ঘাটাইল সেনানিবাসের মেজর সালাহ উদ্দিন ও ক্যাপ্টেন মেরাজসহ সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য যে, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. একাব্বর হোসেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাবেক সাংসদ ফজলুর রহমান ফারুক, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মীর এনায়েত হোসেন মন্টু তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *