বাংলাদেশ, ভুটান, শ্রীলংকা ও আফগানিস্তানে যাচ্ছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর টিম

Slider জাতীয় বাংলার মুখোমুখি

নয়া দিল্লি, পিটিআই: করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান হওয়ার প্রেক্ষাপটে শ্রীলংকা, বাংলাদেশ, ভুটান ও আফগানিস্তানের সামর্থ্য বৃদ্ধিতে সহায়তা দিতে ভারতের সেনাবাহিনীর পৃথক টিম তৈরি হচ্ছে। সরকারি সূত্রগুলো মঙ্গলবার এ খবর দিয়েছে।

ভারতের সেনাবাহিনীর ১৪ সদস্যের একটি দল করোনা ভাইরাসের টেস্ট ল্যাবরেটরি স্থাপন এবং স্তানীয় স্বাস্থ্যকর্মিদের করোনা বিরোধী যুদ্ধে প্রশিক্ষণ দিতে মলদ্বীপ গিয়েছিল।
চলতি মাসের গোড়ায় দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার আওতায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর ১৫ সদস্যের একটি দলকে কুয়েতে পাঠানো হয়।
সূত্রগুলো বলেছে, সকল বন্ধু দেশগুলোকে মহামারি বিরোধী যুদ্ধে সহায়তাদানের ভারতীয় নীতির অংশ হিসেবেই এখন শ্রীলংকা, বাঙলাদেশ, ভুটান ও আফগানিস্তানে সেনাবাহিনীর টিম প্রেরণের প্রস্তুতি চলছে।

সার্ক অঞ্চলে মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি অভিন্ন ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করতে ভারত একটি মুখ্য ভূমিকা পালন করছে।
গত ১৫ মার্চ একটি ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সার্ক অঞ্চলে মহামারি মোকাবেলায় একটি যৌথ কৌশল প্রণয়নের বিষয়টি তুলে ধরেন।এসময় তিনি ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি জরুরি তহবিল গঠনেরও প্রস্তাব দেন। এটা বোধগম্য যে, ভারত ইতিমধ্যেই ওই অর্থ তহবিলে জমা দিয়েছে।
দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক) আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মালদ্বীপ, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলংকাকে নিয়ে গঠিত।
করোনা মহামারির কারণে সার্কের সবগুলো দেশের ওপর নেতিবাচক সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব পড়েছে।
মহামারি মোকাবেলায় বন্ধুদেশগুলোকে সহায়তাদানের নীতির অধীনে ভারত ৫৫টি দেশে ম্যালেরিয়া বিরোধী হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন সরবরাহ করছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মরিশাস ও সিচিলিসসহ অনেক দেশ ইতিমধ্যে ওষুধ গ্রহণও করেছে।
মার্কিন ওষুধ প্রশাসন কোভিড-১৯ এর সম্ভাব্য চিকিৎসা হিসেবে হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইনকে শনাক্ত করেছে। নিউ ইয়র্কের দেড় হাজারের বেশি রোগীর ওপর এখন এই ওষুধের প্রয়োগ চলছে।
ওই ওষুধটি রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর বিশ্বে এটির চাহিদা বেড়ে গেছে।
সূত্রগুলো জানিয়েছে, ওই ওষুধ ভারত তার প্রতিবেশীদের মধ্যে আফগানিস্তান, ভুটান, বাংলাদেশ, নেপাল, মালদ্বীপ, মরিশাস, শ্রীলংকা এবং মিয়ানমারে প্রেরণ করছে।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *