টাঙ্গাইলের নাগরপুরে বোরো ধানের বাম্পার ফলন

Slider কৃষি, পরিবেশ ও প্রকৃতি


সাইফুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলায় নমুনা শস্য কর্তনের মধ্য দিয়ে বোরো ধান কাটা শুরু করেছেন কৃষকরা। নাগরপুরে বোরোধানের ফলন বাম্পার হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে রয়েছে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা। এছাড়াও করোনা ভাইরাসজনিত কারণে সৃষ্ট শ্রমিক সংকট ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা না দিলে এক মাসের মধ্যে নাগরপুর উপজেলার সব ধান ঘরে তোলা সম্ভব।

আজকে সোমবার (২০ই এপ্রিল) নাগরপুর উপজেলার কাঠুরীতে উপজেলা কৃষি অফিসের আয়োজনে নমুনা শস্য কর্তনের মধ্য দিয়ে ধান কাটা শুরু হয়েছে। এছাড়াও আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ধান কাটার ধুম পড়ে যাবে। টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার কৃষকরা যেন বছরের একটিমাত্র ফসল বোরো ধান নিরাপদে-নির্বিঘ্নে ঘরে তুলতে পারেন সে লক্ষ্যে নানা ইতিবাচক উদ্যোগ নিয়েছেন প্রশাসন। এসব উদ্যোগগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রশাসনকে কৃষিশ্রমিকদের তালিকা সরবরাহ করা, অসুস্থ হলে চিকিৎসককে জানানো, কৃষি যন্ত্রপাতির দোকান বন্ধের আওতামুক্ত, বাইরের জেলা থেকে শ্রমিক না আনা প্রভৃতি।

নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম নমুনা শস্য কর্তন পরিদর্শনে এসে বলেছেন, “করোনা ভাইরাসের বিস্তার মোকাবেলার পাশাপাশি এই মূহুর্তে নাগরপুর উপজেলার বোরো ধান নিরাপদে ঘরে তুলে আনাকে আমরা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। আর এ লক্ষ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।”

উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে,”চলতি মৌসুমে নাগরপুর উপজেলায় ১৬ হাজার ৬৮ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়েছে।এখানে ব্রি-২৮ ও ২৯ জাতের ধানের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি।”
নাগরপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখতে পাওয়া যায়, “এখানে নিচু এলাকায় আবাদ করা দেশি ও ব্রি-২৮ জাতের ধান বিক্ষিপ্তভাবে কাটতে শুরু করেছেন কৃষকরা।এছাড়াও মাঠ জুড়ে আধাপাকা ধানের সমাহার। আর জমির পাড়ে ধান মাড়াই ও শুকানোর জন্য কৃষান-কৃষানিরা ব্যস্ত খোলা তৈরির কাজে।”

নাগরপুরের কাঠুরী গ্রামের কৃষক জহিরুল ইসলাম জানান, “এই বছর বোরো ধানের ফলন অনেক ভাল হইছে। এমনকি আজ থেকে কেউ কেউ কাটা শুরু করছে। তবে পুরাদমে কাটা শুরু করতে আরও চার-পাঁচ দিন লাগবে।”

টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মতিন বিশ্বাস জানিয়েছেন, “এবার নাগরপুর উপজেলায় বোরা ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে বলা চলে। আজকে সোমবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ধান কাটা শুরু হয়েছে।তবে সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী এক মাসের মধ্যে সব ধান ঘরে তোলা সম্ভব। এছাড়াও এরকম হলে অবশ্যই উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছি।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *