মো: সাজ্জাত হোসেন, কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি:
প্রিয় কালীগঞ্জ বাসী,
আসসালামু আলাইকুম,
মহামারী করোনা ভাইরাস আজ সারা বিশ্বকে চেপে ধরেছে। আমাদের বাংলাদেশও এর ভয়াল থাবার মধ্যে পরেগেছে। বাংলাদেশ সরকার সারাদেশ লকডাউন করে আমাদের সবাইকে বার বার অনুরোধ করছেন ঘর থেকে বের না হতে।
দেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সকল ইউনিট- পুলিশ, সেনাবাহিনী, রেপিড একশন ব্যাটেলিয়ান, আনসার সহ অন্যান্যদের মাঠে নামিয়েছেন। সকল ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছেন। এছাড়া সকলের জন্য কিছু নির্দেশনাও দিয়েছেন। এসব কিছু করেছেন আপনার আমার প্রাণ বাচাঁনোর জন্য, দেশের মঙ্গলের জন্য।
তার পরেও আমরা সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে ইচ্ছে মতো অবাধে চলাচল করছি। যার কুফল স্বরুপ আজ সারাদেশে (শহর ও গ্রামে) মরণঘাতী করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পরেছে।
এতদিন মনে একটা সাহস ছিল আমাদের কালীগঞ্জ করোনা ভাইরাস মুক্ত। কিন্তু খুব দুঃখের সাথে জানাতে হচ্ছে যে, আমাদের অসাবধানতার কারণে আজ আমাদের প্রিয় কালীগঞ্জ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত।
কালীগঞ্জ পৌরসভা ও অন্যান্য ইউনিয়নে ৫ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। আরও অনেকেই আছেন যাদের মধ্যে করোনার লক্ষন রয়েছে। আমরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে জেনেছি, আক্রান্ত হওয়ার প্রায় ১৪ দিন পরে এক জন ব্যক্তি বুঝতে পারে সে করোনা রোগে আক্রান্ত হয়েছে।
তাহলে একটু চিন্তা করে দেখুন আজ যে রোগী গুলো শনাক্ত হয়েছে তারাতো আমাদের কালীগঞ্জ বাজার ও অন্যান্য স্থানে ঘুরে বেড়িয়েছে। অনেকের সাথে মেলামেশা করে আড্ডা দিয়েছে। আর আড্ডা দেয়া লোক গুলো অন্যান্য সব এলাকায় ঘুরে বেড়িয়েছে। তাহলে বলতে পারেন আজ আমরা কতটা নিরাপদ?
আজ মনটা খুব ছোট হয়েগেছে। একটা অস্বাভাবিক মৃত্যুর ভয়, যার জন্য আমরা নিজেরাই দায়ী৷
মেহের আফরোজ চুমকি এমপি সবার প্রতি বিশেষ করে বলেন, আপনারা কেউ নিজেদের ঘর থেকে বের হবেন না। “ঘরে থাকুন, আপনি নিজে বাচুঁন, আপনার পরিবার পরিজন ও আশেপাশের সকলকে বাঁচার সুযোগ দিন”
আপনার পরিবারের বা বাড়ির কোনো সদস্য যারা বাহিরে যেতে চায় তাদের যে কোনো ভাবে সবাই মিলে প্রতিরোধ করুন। কেননা বাড়ির এক জন আক্রান্ত হলে আর কেউই এই মহামারী করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা পাবেন না।
একটা বিষয় সবাই মনে রাখবেন, করোনা ভাইরাসটি যদি আপিনি বাহির থেকে বাড়িতে নিজে নিয়ে না আসেন, তাহলে এটি আপনা আপনি আমার আপনার বাড়িতে আসতে পারবে না৷
যেহেতু এই রোগের এখনো যথার্থ কোন চিকিৎসা বের হয়নি। তাই আবারও সবার প্রতি বিশেষ অনুরোধ, “ঘরে থাকুন, নিজে বাচুঁন, আপনার পরিবারকে ও বাড়ির লোকজনকে বাচাঁন, অন্যকে বাচাঁর সুযোগ দিন।”