কিভাবে করোনায় আক্রান্ত হলেন চিকিৎসক, মিলছেনা তার উত্তর, সিলেটে বাড়ছে শঙ্কা

Slider জাতীয় ফুলজান বিবির বাংলা সিলেট


হাফিজুল ইসলাম লস্কর, সিলেট :: করোনাভাইরাস একটি ছোঁয়াচে ভাইরাস। একজনের কাছ থেকে আরেকজনের শরীরে ছড়ায় এ ভাইরাসটি। গত রবিবার (৫ এপ্রিল) সিলেটে প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়। তিনি পেশায় একজন চিকিৎসক। কিন্তু তিনি কিভাবে আক্রান্ত হলেন বা কার সংস্পর্শে আক্রান্ত হলেন, তা এখনো অজানা রয়েছে।

সিলেট পরীক্ষারগারে এ পর্যন্ত ১৫৩ জনের করোনা পরীক্ষার ফলাফল এসেছে নেগেটিভ। এছাড়া আক্রান্ত চিকিৎসকের সংস্পর্শে থাকা ১৬ জনের পরীক্ষার ফলাফলও এসেছে নেগেটিভ। তাই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে কিভাবে আক্রান্ত হলেন এই চিকিৎসক। আর এ প্রশ্নের উত্তর না পাওয়ায় থেকে যাচ্ছে শঙ্কা বাড়ছে উৎকন্ঠা।

এছাড়া সংশ্লিষ্টরা শঙ্কা প্রকাশ করে বলছেন যে, ছোঁয়াচে এ ভাইরাসে কিভাবে বা কার মাধ্যমে এ চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছেন তা যদি চিহ্নিত করা না যায় তাহলে সিলেটে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। ফলে জনমনে চরম উৎকন্ঠা বিরাজ করছে।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত চিকিৎসক সিলেটের সিভিল সার্জনকে জানিয়েছেন, তিনি সম্প্রতি কোন প্রবাসীর সংস্পর্শে যাননি এবং ঢাকায়ও যাওয়া আসা করেননি। এছাড়া তিনি গত ১৮ মার্চ থেকে তার ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগীও দেখেননি। তবে তিনি একটি বেসরাকারী হাসপাতালে ভর্তি রোগী দেখেছেন। এছাড়া তিনি তার সংস্পর্শে আসা ১৬ জনের একটি তালিকা দিয়েছেন সংশ্লিষ্টদের কাছে। তালিকায় রয়েছেন তার পরিবারের সদস্য কয়েকজন আত্মীয়, গাড়ী চালক। কিন্তু পরিক্ষায় এদের কারো শরীরে ধরা পড়েনি করোনাভাইরাস। তবে কি ঐ বেসরাকারী হাসপাতালের কোন রোগীর মাধ্যমেই সংক্রমিত হয়েছেন এই চিকিৎসক। তাও রয়েছে অজানা।

আক্রান্ত চিকিৎসকের ভাষ্যমতে তিনি সম্প্রতি কোন প্রবাসীর সংস্পর্শে যাননি এবং ঢাকায়ও যাওয়া আসা করেননি। তাই বলা যায় সিলেটের অন্য কারো কাছ থেকে তিনি করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। কিন্তু সেই চিকিৎসকের করোনাভাইরাস পজেটিভ আসার ৭দিন অতিবাহিত হলেও সিলেটে এখন পর্যন্ত ধরা পড়েনী নতুন কোন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী। সিলেটে এ পর্যন্ত করোনার উপসর্গ থাকায় যাদের পরীক্ষা করা হয়েছে তাদের সবার ফলাফল এসেছে নেগেটিভ। আর সেই ব্যক্তিকে না পাওয়ায় উৎকন্ঠা ও ঝুঁকি দুটোই বাড়ছে সিলেটবাসীর জন্য।

ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় জানান, আক্রান্ত চিকিৎসকের দেয়া তালিকা অনুযায়ী আমরা সবার পরীক্ষা করে দেখেছি। তাদের কারো শরীরে ধরা পড়েনি করোনা। তাই আক্রান্ত চিকিৎসক যদি সন্দেহভাজন হিসেবে অন্য কারো নাম বলেন আমরা তাকে পরীক্ষা করে দেখব। তাছাড়া যদি সিলেটে কারো শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দেয় তাহলে সাথে সাথে প্রশাসনকে জানাবেন। আমরা দ্রুত তাহার চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *