করোনাভাইরাস মৃত্যুর সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়ালো

Slider জাতীয় সারাবিশ্ব


ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসেব অনুযায়ী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সারাবিশ্বে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। করোনাভাইরাসের কারণে হওয়া কোভিড-১৯ রোগ শনাক্ত হয়েছে ৬ লাখ ৬৯ হাজার ৩১২ জনের মধ্যে। ইতালির পর এবার স্পেনেও পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় স্পেনে মারা গেছে ৮৩৮ জন। এনিয়ে স্পেনে সর্বমোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৬হাজার ৫২৮ জনে। মোট করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ৭৮ হাজার ৭৯৭ জনের মধ্যে।

জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসেব অনুযায়ী ইতালিতে মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়েছে। দেশটিতে মোট করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ৯২ হাজার ৪৭২ জনের মধ্যে। শুধু ইউরোপেই মৃত্যের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়েছে।

বিশ্বের অধিকাংশ দেশই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন রকম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে। যুক্তরাজ্যে মৃতের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়েছে। শনিবার মারা গেছেন ২৬০ জন, এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ১হাজার ১৬ জনের।

করোনাভাইরাস সংকট ‘ভাল হওয়ার আগে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে’ বলে সতর্ক করেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। যুক্তরাজ্যের ক্যাবিনেট অফিস মন্ত্রী মাইকেল গাভ সতর্ক করেছেন যে বর্তমান লকডাউন পরিস্থিতি দীর্ঘায়িত করা হতে পারে।

স্কটল্যান্ডের প্রধান মেডিকেল অফিসার ক্যাথরিন ক্যাল্ডারউড বলেছেন যে চলাফেরার সীমাবদ্ধতা ১৩ সপ্তাহ পর্যন্ত দীর্ঘায়িত হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত মারা গেছে দুই হাজারেরও বেশি মানুষ। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ২০ হাজারেরও বেশি, যার মধ্যে শুধু নিউ ইয়র্কেই আক্রান্ত হয়েছেন ৫২ হাজারের বেশি মানুষ।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণ করতে এর আগে নিউ ইয়র্ককে কোয়ারেন্টিন, অর্থাৎ দেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে বিচ্ছিন্ন করার কথা বললেও গতকাল জানিয়েছেন যে নিউ ইয়র্ককে কোয়ারেন্টিন করা ‘জরুরি নয়।’

নিউ ইয়র্কের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুয়োমো জানিয়েছেন চারটি অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরির অনুমোদন দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি জানিয়েছেন শ্বাস প্রশ্বাসে সহায়তা করার জন্য তাদের আরো ৩০ হাজার ভেন্টিলেটর প্রয়োজন হবে।

জন্স হপকিন্স হাসপাতালের হিসেব অনুযায়ী ফ্রান্সে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২ হাজার ৩১৭ জন। সেখানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৪০ হাজার মানুষ।

এছাড়া নেদারল্যান্ডসে এখন পর্যন্ত মারা গেছে ছয়শো’র বেশি মানুষ। জার্মানি ও বেলজিয়াম দুই দেশেই মারা গেছে চারশো’র বেশি মানুষ।

সুইজারল্যান্ডে একদিনে মারা গেছে ২৩৫ জন, মোট মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৫০।

অস্ট্রেলিয়ায় নিষেধাজ্ঞার ওপর আরো কড়াকড়ি আরোপ করেছে দেশটির সরকার। দু’জনের বেশি একসাথে জনসমাগম করার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে সেখানে। ৭০ বছরের বেশি বয়সী মানুষ যেন ঘরে থাকে সেই অনুরোধও করা হয়েছে।

করোনোভাইরাসে বিশ্বের সবচেয়ে বেশ ক্ষতিগ্রস্থ দেশ ইতালির ডেপুটি স্বাস্থ্য মন্ত্রী পিয়েরপাওলো সিলেরি ধারণা করছেন যে প্রাদুর্ভাবের চুড়ান্ত সীমার দিকে যাচ্ছে ইতালি।

করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া দেশগুলোর একটি ইরান জানিয়েছে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ১২৩ জন মারা গেছে। কর্তৃপক্ষের হিসেব অনুযায়ী দেশটিতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২ হাজার ৬৪০, মোট সংক্রমণ হয়েছে ৩৮ হাজার ৩০৯ জনের মধ্যে।

সৌদি আরবের কর্তৃপক্ষ জেদ্দায় প্রবেশ এবং সেখান থেকে বের হওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে এবং ওই এলাকায় কারফিউ জারি করেছে। গত সপ্তাহে রিয়াদ, মক্কা ও মদিনাতেও একই পদক্ষেপ নেয় সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ।

মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের পর সৌদি আরবই সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দেশ।

সূত্র : বিবিসি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *