পাবলিক বাসে একাই উদ্দেশ্যমূলকভাবে ৯ জনের শরীরে করোনা ছড়িয়ে দিলেন তিনি!

Slider জাতীয় টপ নিউজ


ডেস্ক: করোনাভাইরাস আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে পুরো বিশ্বজুড়ে। এরই মধ্যে চীনে এক করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি উদ্দেশ্যমূলকভাবে পাবলিক বাসে ৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে দিয়েছেন। বাসে সহজেই ভাইরাসটি ছড়াতে পেরেছেন, কারণ এতে মানুষজন ঠাসাঠাসি করে থাকে। লোকটি মোট ১৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে দিয়েছে।

এমনকি করোনাভাইরাসের জন্য নিরাপদ দূরত্ব ৪.৫ মিটার দূরেও ভাইরাসটি ছড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। লোকটি বাস থেকে নেমে যাওয়ার ৩০ মিনিট পরেও একজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।

ঘটনা বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে, করোনা বহনকারী লোকটির থেকে ৪.৫ মিটার দূরে বসে থাকা দু’জনও করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। যা কোভিড-১৯ রোগীর কাছ থেকে দাঁড়ানোর জন্য ‘নিরাপদ দূরত্ব’ হিসাবে গণ্য হওয়া দূরত্বের থেকে চারগুণ বেশি।

ইতালি এবং যুক্তরাজ্যসহ অনন্য দেশগুলি করোনার প্রাদুর্ভাব সীমাবদ্ধ করতে একজন মানুষ থেকে আরেক জনের দূরত্ব কমপক্ষে দুই মিটার কার্যকর করেছে।

করোনাভাইরাসটি হাঁচি-কাঁশি এবং থু থুর মাধ্যমেই কেবল ছড়িয়ে পড়ে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছিল, তবে গবেষণায় দেখা গেছে যে করোনা জীবাণু দীর্ঘ সময় ধরে বাতাসে স্থির থাকতে পারে।

বাসটি থেকে করোনাভাইরাস বহনকারী নেমে যাওয়ার আধা ঘণ্টা পরে একজন ভ্রমণকারীর শরীরে করোনভাইরাস সনাক্ত করেন বিজ্ঞানীরা।

তবে বাসটিতে যারা মাস্ক পরা ছিলেন তাদের কারও মাঝে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েনি। ফলে এটা এই ইঙ্গিত দেয় যে, পাবলিক ট্রান্সপোর্টে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে অতিরিক্ত সতর্কতা হিসেবে মাস্ক ব্যবহার করা উচিত।

ভাইরাসটির উদ্ভব যেখানে, সেখানে এখনও এটিকে মহামারী ঘোষণা করা হয়নি। এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী ১ লাখ ১৪ হাজারেরও বেশি মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ৪ হাজারের মতো মানুষের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়া গেছে।

পরীক্ষায় দেখা গেছে, যে করোনভাইরাসটি কোনও পৃষ্ঠের উপর বিশেষত উষ্ণতর তাপমাত্রায় প্লাস্টিক, ফ্যাব্রিক এবং ধাতব পদার্থের ক্ষেত্রে কয়েক দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।

আক্রান্ত রোগীদের অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, তারা করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির ঘনিষ্ট সংস্পর্শে ছিল। সুতরাং, সম্পূর্ণ অপরিচিত ব্যক্তিদের থেকে গণপরিবহনে চড়ার সময় এসময়ে সাবধানতা আবলম্বন করতে হবে।

সুস্থ থাকতে যতবার পারা যায় হাত ধুতে হবে। জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে। প্রয়োজনে মাস্ক ব্যবহার করা যেতে পারে। মাস্কের অবশ্য বাধ্যবাধকতা নেই। ডাক্তাররা বলছেন, আক্রান্ত রোগী এবং তার যারা সেবা করছেন তাদেরই মূলত মাস্ক ব্যবহার করা উচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *