ঢাকা: ১৯ হাজার ৭৩২ জন বেসরকরি শিক্ষকের অবসর সুবিধা প্রাপ্তির বিষয় নিস্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানিয়ছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপুমনি। ২০১৮ সাল থেকে করা এইসব আবেদন নিষ্পত্তি প্রক্রিয়াধীন বলেও মন্ত্রী জানান। সংসদে প্রশ্নোত্তরে সোমবার মুহিবুর রহমান মানিকের (সুনামগঞ্জ-৫) এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এই তথ্য জানান। সংসদের প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।
দীপু মনি আরো জানান, দ্রুততার সাথে এই সকল আবেদন নিষ্পত্তির জন্য ‘ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড’ এর অনুকূলে ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদানের লক্ষ্যে কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। অর্থ অনুমোদনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, শিক্ষকদের অবসর সুবিধা প্রাপ্তির আবেদন দ্রুততার সাথে নিষ্পত্তি করার জন্য ইতিমধ্যে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ১০০ কোটি টাকা অনুদান এবং ৫০০ কোটি টাকা এনডাওমেন্ট ফান্ড হিসেবে বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ১৫০ কোটি টাকা এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৫৩২ কোটি টাকা অনুদান হিসেবে মন্ত্রণালয় থেকে প্রদান করা হয়েছে। ২০১৭ সাল পর্যন্ত করা সকল আবেদন নিষ্পত্তি করা হয়েছে। বাকিগুলো প্রক্রিয়া আছে।
নবম-দশম শ্রেণিতে বিভাগ থাকছেনা
জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমামের এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মাধ্যমিক স্তরের নবম-দশম শ্রেণিতে গ্রুপ বা বিভাগ না রাখার চিন্তা-ভাবনা চলছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী দশম শ্রেণি পর্যন্ত সকল শিক্ষার্থী একই বিষয়ের ওপর শিক্ষা অর্জন করবে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ভিত মজবুত হবে। একাদশ শ্রেণি থেকে গ্রুপ বা বিভাগ ভিত্তিক লেখাপড়ার সুযোগ থাকবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, তথ্য অধিকার আইন বিষয়ক বিষয়বন্তু ৮ম শ্রেণিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, নবম-দশম শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, নবম-দশম শ্রেণির বাংলা দেশ ও বিশ্বপরিচয় এবং ৯ম শ্রেণির পৌরনীতি ও নাগরিকতা বিষয় পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
দীপু মনি আরো জানান, শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জনের ক্ষেত্রে তথ্য কমিশশনের ওয়েবসাইটে ঠিকানা অন্তর্ভুক্তকরণ এবং আইনটি আরো বিস্তুত পরিসরে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি বিবেচনাধীন রাখা হবে।
দেশে ১০৫ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যাল
সরকারি দলের অসীম কুমার উকিলের এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, বর্তমানে দেশে ১০৫ টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ৯৪টির কার্যক্রম চালু রয়েছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিতর্কিত নাম পরিবর্তনের উদ্যোগ
শামীমা আক্তার খানমের এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এমপিওভুক্তির জন্য যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তালিকাভুক্ত হয়েছে, এর মধ্যে যেসব প্রতিষ্ঠানের নামের সঙ্গে বিতর্কিত কিংবা স্বাধীনতাবিরোধী কোনো ব্যক্তির নামের সম্পৃক্ততা রয়েছে সেই সব প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তনের উদ্যোগ গৃহিত হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক যে, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর প্রাক্কালে এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকার্য চলমান থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশের কোনো কোনা অঞ্চলে কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানে এখনো বিতর্কিত ব্যক্তিদের নাম রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ বিষয়ে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করছি।