সুজনের তথ্য বিশ্লেষণ অধিকাংশ কাউন্সিলর প্রার্থীই স্বল্প শিক্ষিত

Slider জাতীয় সারাদেশ

ঢাকা ২ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীদের হলফনামার তথ্য বিশ্লেষণ করে বেসরকারি সংস্থা সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) বলেছে, কাউন্সিলর পদপ্রার্থীদের মানে অবনতি ঘটছে। ব্যবসায়ী ও স্বল্প শিক্ষিত প্রার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সুজন’র সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে হলফনামার তথ্যের বিশ্লেষণ তুলে ধরেন সুজন’র কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার। বিশ্লেষণে দেখা যায়, মেয়র প্রার্থীদের উচ্চশিক্ষিতের হার বেশি হলেও কাউন্সিলর পদপ্রার্থীদের মধ্যে স্বল্পশিক্ষিতের হার বেশি। ২০১৫ সালে স্বল্পশিক্ষিতের হার ছিল ৫৯ দশমিক ৪০ শতাংশ, এবার ৬১ দশমিক ৩২ শতাংশ। ২০১৫ সালে উচ্চশিক্ষিতর হার ছিল ২৭ দশমিক ৪১ শতাংশ, এবার ২৫ দশমিক ২৭ শতাংশ।

আর ঢাকা দক্ষিণের সর্বমোট ৪০৯ জন প্রার্থীর মধ্যে ২৬৬ জনের (৬৫.০৩ শতাংশ) শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি বা তার নিচে। স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী আছেন ৭৯ জন (১৯.৩১ শতাংশ)। ৭ জন প্রার্থী শিক্ষাগত যোগ্যতা উল্লেখ করেননি।
ঢাকা দক্ষিণে গত নির্বাচনের তুলনায় স্বল্প শিক্ষিতের হার সমান থাকলেও উচ্চশিক্ষিত প্রার্থীর হার কিছুটা কমেছে।

এছাড়াও দেখা যায় ঢাকা উত্তরের ৩৩১ প্রার্থীর মধ্যে ৫৬ দশমিক ১৯ শতাংশ অর্থ্যাৎ ১৮৬ জনের বার্ষিক আয় ৫ লাখ টাকা বা তার কম। আয় উল্লেখ না করা ৩৪ জনকে হিসাবে ধরলে ৫ লাখের কম বা স্বল্প আয়ের প্রার্থী ৬৬ দশমিক ৪৬ শতাংশ। গত নির্বাচনে স্বল্প আয়ের প্রার্থী ছিলেন ৭০ দশমিক ৭০ শতাংশ। অন্যদিকে, গত নির্বাচনে কোটি টাকার বেশি আয় ছিল ৩ জন প্রার্থীর (০.৮০ শাতংশ)। এবার কোটিপতি প্রার্থী (২.১১ শতাংশ) বা ৭ জন প্রার্থীর।

অন্যদিকে, দক্ষিণে ৬৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ প্রার্থীর আয় ৫ লাখ বা তার নিচে। গত নির্বাচনে এ রকম স্বল্প আয়ের প্রার্থী ছিলেন ৭৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ। দক্ষিণে এবার কোটিপতি প্রার্থী আছেন তিনজন (০.৭৩%)। ২০১৫ সালের নির্বাচনে এমন প্রার্থী ছিলেন ৭ জন (১.৪৪%)।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *