ভারতে যাচ্ছেন না পররাষ্ট্রমন্ত্রী, বাতিল হল প্রতিমন্ত্রীর সফরও

Slider জাতীয় ফুলজান বিবির বাংলা


ডেস্ক: সোমবার থেকে রাজধানীতে শুরু হচ্ছে চলতি বছরের প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন ‘রাইসিনা আলোচনা’। এই সংলাপে অন্যতম বক্তা হিসেবে প্রথমে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী আবুল কালাম আব্দুল মোমেনকে আমন্ত্রণ জানায় ভারত। সূত্রের খবর, বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী আসতে পারবেন না ঢাকা জানানোয়, নিমন্ত্রণ করা হয় সে দেশের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমকে।

আজ বাংলাদেশের সরকারি সূত্রের খবর, আসছেন না তিনিও। পরিবর্তে ঢাকা বিদেশসচিব বা অন্য কোনও কর্তাকে পাঠাবে কি না, তা-ও স্পষ্ট নয়।

কূটনৈতিক শিবির বলছে ২০০৯ সালে ভোটে জিতে আওয়ামি লিগ ক্ষমতায় আসার পরে ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে এমন তিক্ততা দেখা যায়নি। তিস্তা ও নানা বিষয়ে মতান্তর হয়েছে। কিন্তু উপর্যুপরি কয়েক সপ্তাহের মধ্যে চার চার বার বাংলাদেশের মন্ত্রী এবং কর্তার ভারত সফর বাতিলের ঘটনা ঘটেনি। অন্য দিকে বিষয়টি নিয়ে এখনও মুখ খোলেনি সাউথ ব্লক।

সূত্রের খবর, ভারতের তরফ থেকে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চেষ্টা চালানো হবে শাহরিয়ার না আসুন, রাইসিনা আলোচনা যাতে বাংলাদেশ-শূন্য না থাকে তা নিশ্চিত করা। কূটনীতিকদের মতে, বাংলাদেশের সঙ্গে সাম্প্রতিক অতীতে যে মন কষাকষি চলছিল তাতে ঘৃতাহুতি হয়েছে নয়া নাগরিকত্ব আইন পাশ করার বিষয়টি। পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশকে এক বন্ধনীতে রেখে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বার বার সে সব দেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের উল্লেখ, রোহিঙ্গার পর ফের ভারত থেকে বাংলাদেশে শরণার্থী যাওয়ার আশঙ্কা, শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক কলকাতা সফরে কেন্দ্রের কোনও প্রতিনিধির উপস্থিত না থাকা— সব মিলিয়ে গোটা বাংলাদেশে ভারত বিরোধিতার ঢেউ তৈরি হয়েছে। যার জেরে সম্প্রতি তিন তিন জন বাংলাদেশের মন্ত্রী এবং সরকারি প্রতিনিধির বাংলাদেশ সফর বাতিল করে দিয়েছিলেন ঢাকা নেতৃত্ব। কিন্তু তার পরে সম্পর্ক কিছুটা সহজ করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বছরের প্রথম দিন ফোন করেন হাসিনাকে। দুই নেতার মধ্যে শুভেচ্ছা বিনিময় হয়। পাশাপাশি আগামী ১৭ মার্চ থেকে বাংলাদেশে শুরু হতে চলা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানের সাফল্য কামনা করেন মোদী। কিন্তু তাতে যে চিঁড়ে ভিজছে না, সেটা স্পষ্ট।

সূত্রঃ আনন্দবাজার পত্রিকা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *