কিছু পুলিশ ধরেই নিয়েছে দুর্নীতি করলে কিছু হয় না: হাইকোর্ট

Slider জাতীয় বাংলার আদালত

কিছু পুলিশের অন্যায়, অপকর্ম ও দুর্নীতির জন্য গোটা পুলিশ বাহিনীর অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। আর এর সংখ্যা পাঁচ শতাংশের বেশি হবে না। এরা ধরেই নিয়েছে পুলিশ দুর্নীতি করলে কিছু হয় না। সোমবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই মন্তব্য করেন। একইসঙ্গে আদালত রাজধানীর উত্তর পূর্ব থানার এ এস আই মোস্তাফির রহমানের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না- এই মর্মে রুল জারি করেছেন। পুলিশের আইজিকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইসমাইল হোসেন ভূঁইয়া ও সঙ্গে ছিলেন মো. আবুল কালাম। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুপি অ্যাটর্নী জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার ও সহকারি অ্যাটর্নী জেনারেল মো. সাইফুল আলম।
পরে ডেপুপি অ্যাটর্নী জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার সাংবাদিকদের বলেন, আদালত রাজধানীর উত্তর পূর্ব থানার এ এস আই মোস্তাফির রহমানের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না- এই মর্মে রুল জারি করেছেন। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে পুলিশের আইজিকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

অ্যাডভোকেট ইসমাইল হোসেন ভূঁইয়া সাংবাদিদের জানান, গেলো ২৭শে জুন রাতে উত্তরাস্থ ভূতের আড্ডা রেস্টুরেন্ট থেকে ডিনার শেষে ভুক্তভোগী ইব্রাহিম খলিল ও পরিচিত নীল আক্তারসহ রিক্সা যোগে বাসায় ফেরার পথে বিমানবন্দর রেলস্ট্রেশনে আসার পথে রাত ১১টা ১০ মিনিটে কসাই বাড়ি রেল ক্রসিংয়ের কাছে পৌছলে একজন এপিবিএন সদস্য আমাদের পথরোধ করে রিক্সা থেকে নামতে বলে। তখন আমরা রিক্সা থেকে নামলে তিনি মোবাইল ফোন করে ‘স্যার দুজনকে ধরেছি’ বলে দাঁড় করিয়ে রাখে। এসময় আটকের কারন জানতে চাইলে পওে জানতে পারবেন বলে জানান। কিছুক্ষন পরএ.এস.আই মোস্তাফিজুর এবং নেইমপ্লেটবিহীন অজ্ঞাতনামা পুলিশ কনস্টেবল এসে আমাদেরকে এপিবিএন কোয়ার্টার গেইটের দক্ষিণ পাশে ব্যাটারী চালিত অটোতে উঠতে বলে। তখন আমি কারণ জানতে চাইলে মোস্তাফিজুর রহমান অশ্লীল ভাষায় গালি গালাজ ও ধমকানো শুরু করে। একপর্যায়ে ইব্রাহিমকে ওখানে রেখে এ.এস.আই মোস্তাফিজুর নীলা আক্তারকে নির্জন স্থানে নিয়ে তাকে সময় দেয়ার শর্ত ও ২০ হাজার টাকা দিলে ছেড়ে দেয়ার কথা বলে। পরে ৬ হাজার টাকা দিয়ে তারা ছাড়া পায়।

ভুক্তভোগী ইব্রাহিম বলেন, এ ঘটনায় এ.এস.আই মোস্তাফিজুর রহমান ও তার সঙ্গে থাকা অজ্ঞাতনামা দুজন কনস্টেবলের বিরুদ্ধে নাজেহালের ঘটনা বর্ননা করে পুলিশ মহা পরিদর্শক বরাবর লিখিত আবেদন এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশানরকে সদয় অবগতিও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুলিপি প্রদান করি। কিন্তু আজ পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো প্রতিকার পাইনি।
গত ২৫ শে জুলাই এ ঘটনা চ্যালেঞ্জ করে ইব্রাহিম বাদী হয়ে হাইকোর্টে রিট করেন। রিটে প্রয়োজনীয় তথ্যপ্রমানাদি সংযুক্ত করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *