সুজনের আলোচনা ছাত্ররাজনীতি বন্ধ কোনো সমাধান নয়

Slider জাতীয় সারাদেশ


ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করা কোন সমাধান নয়। বরং ছাত্র রাজনীতিকে জাতীয় রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে আনতে হবে বলে মনে করছেন ডাকসুর সাবেক নেতারা। সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন। ‘বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতি ও প্রাসঙ্গিক ভাবনা’ শীর্ষক এ গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, বর্তমান সরকার নিজেদের পাপ আড়াল করতে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করতে চাচ্ছে। যাতে ছাত্ররা কথা বলতে না পারে। কিন্তু তাদের কথা বলতে হবে। স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করার জন্য দেশে ছাত্ররাজনীতি থাকতে হবে।
ছাত্ররাজনীতির মাধ্যমেই এ দেশে স্বাধীনতা এসেছিল। ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার মতো নিষ্ঠুর ও নির্মম সিদ্ধান্ত নেয়া সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে হবে।

রাশেদ খান মেনন বলেন, একটি ছাত্র সংগঠনের সাংগঠনিক প্রধান কীভাবে রাজনৈতিক দলের প্রধান হতে পারে? এটা আমার মাথায় আসে না। দলের সাংগঠনিক নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত হতে পারলে এ দেশের ছাত্ররাজনীতি এগিয়ে যাবে। ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ছাত্ররাজনীতি মানে জাতীয় রাজনীতির বড় জায়গা। সত্যের পক্ষে তারুণ্যকে সব সময় থাকতে হবে। সঠিক কথা বলতে হবে। খালেদা জিয়াকে যেভাবে জেলে রাখা হয়েছে, তা অন্যায়। দেশে একটা অনাচার চলছে। দেশ আজ গভীর সংকটে। এর বিরুদ্ধে কি কথা বলা যাবে না? কথা বলতে হবে। সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ছাত্ররাজনীতিতে এখন কৃষ্ণপক্ষ চলছে। কিন্তু সব কিছু অন্ধকারে হারিয়ে যায়নি।

তাহলে গণজাগরণ মঞ্চ, কোটা সংস্কার আন্দোলন, নিরাপদ সড়কের আন্দোলন থেকে শুরু করে হালের আবরার হত্যার বিচারের আন্দোলন হতো না। বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি সব সময়ই নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু সেখানে কীভাবে আবরার হত্যাকা- হলো? এটা ছাত্ররাজনীতি না থাকার কারণে হয়েছে। ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা ঠিক হবে না। অবারিত করে দেয়া দরকার। আমি একটি আহ্বান জানাতে চাই। ডাকসুর সাবেক ভিপি-জিএসদের এক প্ল্যাটফর্মে আনতে চাই। কাউন্সিল অব এক্স ভিপি-জিএস অব ডাকসু নামে। আমরাই নতুনদের সামনের দিকে পথ দেখাতে পারবো সেখান থেকে।

সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ বলেন, ছাত্ররাজনীতিকে জাতীয় রাজনীতি থেকে বিযুক্ত করতে হবে। বর্তমানে জাতীয় রাজনীতি লুটেরাদের হাতে চলে গিয়েছে। এ অবস্থা থেকে দূর করতে ঐক্য প্রয়োজন রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *