খুলনা-সিলেটের সহজ জয়

Slider খেলা

ঢাকা: প্রথম ইনিংসে রাজশাহী বিভাগের বিপক্ষে ডাক মারেন সৌম্য সরকার। দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি ফিফটি করে খুলনা বিভাগকে ৭ উইকেটের সহজ জয় এনে দেন। খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে রাজশাহীর মুশফিকুর রহিম-নাজমুল শান্তদের ব্যাটিং অনুশীলনটা ভালো হয়নি।

প্রথম ইনিংসে ২৬১ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭০ রানে অলআউট হয় রাজশাহী। প্রথম ইনিংসে ৩০৯ রানে থামা খুলনা বিভাগ দ্বিতীয় ইনিংসে জয়ের জন্য ১২৩ রানের লক্ষ্য পায়। সৌম্যর ফিফটি, ইমরুল কায়েসের ২২ এবং মোহাম্মদ মিঠুনের ২৭ রানে ভর করে সহজে জয় পায় খুলনা। দীর্ঘদিন পরে জাতীয় দলে ডাক পাওয়া আল আমিন হোসেন দ্বিতীয় ইনিংসে রাজশাহীর ৪ উইকেট নেন। প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট নেন মেহেদি মিরাজ।

এছাড়া প্রথম ইনিংসে খুলনার হয়ে ইমরুল কায়েস ৯৩ ও নুরুল হাসান ৯৭ রান করেন। এর আগে প্রথম রাউন্ডে খুলনার ইমরুল কায়েস ডাবল সেঞ্চুরি করেন। ভারতে টেস্ট সিরিজে ডাক পাওয়ার দাবি জানিয়ে রাখেন তিনি।

বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে সিলেটের কাছে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছে ঢাকা মেট্রো। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ প্রথম ইনিংসে ৬৩ রান করেন। দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি খেলেন ১১১ রানের ইনিংস। তার পরও তারা সিলেটের কাছে পাত্তা পায়নি। একক নয় বরং দলীয় পারফরম্যান্সে জিতেছে সিলেট। প্রথম ইনিংসে ঢাকা মেট্রো ২৪৬ রান করে। সিলেট তোলে ৩০৯ রান। তাদের চার ব্যাটসম্যান ফিফটি করেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ঢাকা ২৭৩ রান করলে জয়ের জন্য ২০১ রানে লক্ষ্য পায় সিলেট।

রান তাড়ায় নামা ওপেনার ইমতিয়াজ হার না মানা ১১০ রান করেন। জাকির হোসেন আউট হন ৭২ রান করে। প্রথম ইনিংসে মেট্রো আবু হায়দার রনি নেন ৫ উইকেট। সিলেটের রেজাউর রহমান পান ৪ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে আবার সিলেটের আবু জায়েদ ৪ উইকেট তুলে নেন।

ওদিকে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে রানের ফোয়ারা ছোঁটা ঢাকা বিভাগ এবং রংপুর বিভাগের ম্যাচটি ড্র হয়েছে। সাইফের ডাবল সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ৮ উইকেটে ৫৫৬ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে ঢাকা বিভাগ। রংপুর প্রথম ইনিংসে তোলে ৫০৮ রান। দলের হয়ে লিটস দাস ও নাঈম ইসলাম সেঞ্চুরি করেন। শুভাগত হোম খেলেন ৯২ রানের ইনিংস। তানভির হায়দার ৭৩ রান করেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ঢাকা ১০ রান তুলতেই ড্র হয়ে যায় ম্যাচ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *