হাতীবান্ধায় যত্ন প্রকল্পের আওতায় গর্ভবতী মা’দের নগদ অর্থ প্রদান

Slider জাতীয় রংপুর


হাসানুজ্জামান হাসান, লালমনিরহাটঃ ইনকাম সাপোর্ট প্রোগ্রাম ফর দ্যা পুওরেষ্ট (আইএসপিপি)- যত্ন প্রকল্পের আওতায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় ১৪৯৯১ জন উপকার ভোগীদের মাঝে নগদ অর্থ প্রদান কাজের শুভ উদ্বোধন করেন স্থানীয় সাংসদ ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহার হোসেন এমপি।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) উপজেলার গড্ডিমারী ও সিঙ্গিমারী ইউনিয়নের (১৩৬২+১৪৫৫)= ২৮১৭ জন উপকার ভোগীর মাঝে নগদ অর্থ প্রদান করা হয়।

গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত (আইএসপিপি)- যত্ন প্রকল্পের আওতায় গর্ভবতী মা’দের মাঝে নগদ অর্থ বিতরনে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহার হোসেন এমপি।

উপজেলার গড্ডিমারী পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ আতিয়ার রহমানের সভাপতিতে উক্ত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, রংপুর বিভাগীয় ডিপুটি পোস্ট মাস্টার (জেনারেল) প্রদীপ কুমার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামিউল আমিন, উপজেলা আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান সোহাগ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহার হোসেন কলেজের অধ্যক্ষ আবু বকর সিদ্দিক শ্যামল, গড্ডিমারী ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক এলিজা বেগম, সিঙ্গিমারী ইউপি চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন দুলু প্রমুখ।

উল্লেখ্য-
আইএসপিপি প্রকল্পের সংক্ষিপ্ত পরিচিতিঃ
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ স্থানীয় সরকার বিভাগ অতিদরিদ্রদের জন্য “ইনকাম সাপোর্ট প্রোগ্রাম ফর দ্যা পুওরেষ্ট (আইএসপিপি)-যত্ন” প্রকল্পের মাধ্যমে আয় সহায়ক কর্মসূচী গ্রহণ করেছে।
মুলত বিশ্বব্যাংক ও অংশত বাংলাদেশ সরকারের আর্থিক সহায়তায় ময়মনসিংহ বিভাগের ৩টি জেলা- ময়মনসিংহ, জামালপুর ও শেরপুর এবং রংপুর বিভাগের ৪টি জেলা- গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও নীলফামারীর জেলার ৪৩টি উপজেলার ৪৪৪টি ইউনিয়নে প্রকল্পের যাবতীয় কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। এই কর্মসূচীর উপকারভোগী হচ্ছে অতিদরিদ্র পরিবারের অন্তঃসত্ত্বা নারী, ৫ বছরের কম বয়সী প্রথম ও দ্বিতীয় শিশু এবং তাদের মা।

প্রকল্পের উদ্দেশ্যঃ
মূল উদ্দেশ্য হলো নির্বাচিত ৪৩টি উপজেলায় অতিদরিদ্র অন্তঃসত্ত্বা নারী এবং ০ থেকে ৬০ মাস বয়সী শিশুর মা’দের সুনির্দিষ্ট সেবা গ্রহণের বিপরীতে নগদ অর্থ প্রদানের মাধ্যমেঃ (ক) শিশুদের পুষ্টি ও মনোদৈহিক বিকাশ সাধন (খ) সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কার্যক্রম পরিচালনায় ইউনিয়ন পরিষদের সক্ষমতা বৃদ্ধি।

১। প্রকল্পের উপকারভোগী যারাঃ
বাংলাদেশ ব্র‍্যরো অফ স্ট্যাটিস্টিক্স (পরিসংখ্যান ব্যুরো) কর্তৃক ক্ষেত্রসমীক্ষা বা জরিপের মাধ্যমে নির্বাচিত এবং/অথবা বিকল্প উৎস (সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ) হতে নির্বাচিত অতিদরিদ্র পরিবারসমুহের অন্তঃসত্ত্বা নারী এবং ০ থেকে ৬০ মাস বয়সী শিশু ও তার মা।

২। উপকারভোগীগণের সুবিধাঃ
অতিদরিদ্র পরিবারের অন্তঃসত্ত্বা নারী এবং ৫ বছরের কম বয়সী প্রথম ও দ্বিতীয় শিশু এবং তাদের মা। প্রায় ৬,০০,০০০ (ছয় লক্ষ) দরিদ্র উপকারভোগী এ প্রকল্পের আওতায় সরাসরি উপকৃত হবেন।
প্রকল্প কার্যক্রমঃ তিনটি কম্পোনেন্ট-এর সমন্বয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছেঃ
কম্পোনেন্ট-১ঃ উপকারভোগীগণকে অর্থ প্রদান
ক) অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ৪ বার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য (প্রতিবার ১০০০ টাকা হারে) মোট ৪০০০ টাকা নগদ অর্থ পাবেন।
খ) ০-২৪ মাস বয়সী শিশুদের প্রতি মাসে ওজন ও উচ্চতা (GMP) পরীক্ষার জন্য ৭০০ টাকা হারে, প্রতি ৩ মাসে ২১০০ টাকা পাবেন। ৩ (তিন) মাসে ৩-বার ওজন ও উচ্চতা পরিমাপ কাজে অংশগ্রহণ করলে অতিরিক্ত বা বোনাস হিসাবে আরও ৭০০ টাকা পাবেন।
গ) ২-৫ বছর বয়সী শিশুদের ওজন ও উচ্চতা পরিমাপের জন্য, প্রতি ৩ মাসে একবার অংশগ্রহণে ১৫০০ টাকা পাবেন।

অন্তঃসত্ত্বা নারী এবং ০-৫ বছর বয়সের শিশুর মা’দের জন্য প্রতি মাসে শিশু-পুষ্টি ও মনোদৈহিক বিকাশ (CNCD) সংক্রান্ত শিক্ষামূলক অধিবেশনে অংশগ্রহণের জন্য ৭০০ টাকা হারে প্রতি ৩ মাসে ২১০০ টাকা পাবেন। ৩ (তিন) মাসে ৩-বার পুষ্টি ও তাদের দৈহিক বিকাশ সংক্রান্ত শিক্ষামুলক অধিবেশনে অংশগ্রহণ করলে বোনাস হিসাবে আরও ৭০০ টাকা পাবেন।

নির্বাচিত উপকারভোগীগণ কর্তৃক উল্লিখিত সেবা গ্রহণ এবং CNCD সেশনে অংশগ্রহণের উপস্থিতি ফিঙ্গার ভেইন স্ক্যানারের সাহায্যে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিশ্চিত করা হবে। উপকারভোগীগণের প্রাপ্য অর্থ প্রতি ৩ মাস অন্তর পোস্ট অফিসের ব্যবস্থাপনায় POS মেশিন ও ক্যাশ কার্ডের মাধ্যমে প্রদান করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *