সংকট সমাধানে গণভোটের প্রস্তাব

জাতীয়

image_111719_0দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট সমাধানে গণভোট অনুষ্ঠানের পরামর্শ দিয়েছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান। তিনি বলেছেন, গণভোটের ব্যবস্থা থাকলে হরতালের প্রয়োজন হতো না। তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা ভোটারদের বিষয়।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন)৫ম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই প্রস্তাব দেন।

ড. আকবর আলি বলেনন, “দেশে গণতন্ত্রের জন্য আকুতি আন্দোলন চলছে। গণতন্ত্র ও উন্নয়নের মধ্যে কোনো বৈপরীত্য নেই। গণতন্ত্র ছাড়া উন্নয়ন হয় না।”

সুজন সভাপতি এম হাফিজ উদ্দিন খান বলেন, “দেশে বর্তমানে দলীয়করণ চলছে। বর্তমানে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পরমত সহিষ্ণুতা নেই। গাজীপুরের ব্যাপারে এটা আমরা দেখতে পেয়েছি।”

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এটিএম শামসুল হুদা বলেন, “২০১৪ সালের নির্বাচনে ফাঁকা মাঠে গোল দেয়া হয়েছে। নির্বাচন বয়কট করে কখনো কোনো রাজনৈতিক দল লাভবান হয়নি।”

তিনি বলেন, “যারা নির্বাচন বয়কট করেছিল তাদের উচিত ছিল নির্বাচন কমিশনে নিয়োগপ্রাপ্তরা যোগ্য কি-না। তারা কোন ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে এসেছে এসব বিষয়ে আলোচনা করা। কিন্তু তারা সেটা করেনি। ফলে দেশে নির্বাচন হয়ে গেছে।”

শামসুল হুদা বলেন, “বর্তমানে গণতন্ত্র ও উন্নয়ন বিষয়ে আংশিক ব্যাখ্যা দেয়া হয়। ফলে এ বিষয়ে আজ বিতর্ক অনেক সৃষ্টি হয়েছে। দেশে এখন গণতন্ত্রের নামে নির্বাচিত অটোক্রেসি চলছে। যখন যেদলই ক্ষমতায় থাকুন না কেন বিরোধী দল সরকারকে সাহায্য করেনি। তাই দেশে গণতন্ত্র ভালভাবে চলতে পারে না।”

সুজন সভাপতি এম হাফিজউদ্দিন খানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- পুলিশের সাবেক আইজিপি শাহজাহান, ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাহবুবুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আসিফ নজরুল, রোবায়েত ফেরদৌস, ড. ইনাম আহমেদ চৌধুরী, সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *