১৪ জনের ব্যাংক হিসাব তলব

Slider অর্থ ও বাণিজ্য ফুলজান বিবির বাংলা


ঢাকা: যুবলীগ নেতা জি কে শামীম ও খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার ব্যাংক হিসাব স্থগিত (অবরুদ্ধ) করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ছাড়া সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটসহ ১২ জনের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে। সোমবার দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর কাছে এক চিঠি পাঠিয়ে এসব তথ্য চাওয়া হয়েছে। চিঠির জবাব সোমবারের মধ্যে দিতে বলা হয়েছে।

ব্যাংক হিসাব তলবের তালিকায় ১২ জনের মধ্যে যুবলীগ নেতা, ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ও রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) সিনিয়র সহসভাপতি নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন, ফাজানা চৌধুরী, যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, প্রশান্ত কুমার হালদার, আফসার উদ্দীন মাস্টার, আয়েশা আক্তার, শামীমা সুলতানা, শেখ মাহামুদ জোনাইদ, মো. জহুর আলম, এসএম আজমল হোসেন, ব্রজ গোপাল সরকার ও শরফুল আওয়ালের নাম রয়েছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) প্রধান আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান বলেন, যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তাদের হিসাব স্থগিত করা হয়েছে। বাকিদের হিসাবের তথ্য চাওয়া হয়েছে।

ব্যাংকগুলোতে পাঠানো বিএফআইইউ-এর চিঠিতে বলা হয়েছে, খালেদ মাহমুদ, জিকে শামীমের স্ত্রী, সন্তান ও মা বাবার ব্যাংক হিসাব স্থগিত রাখার পাশাপাশি ৫ কর্ম দিবসের মধ্যে সব তথ্য বিএফআইইউকে জানাতে হবে।

সূত্র জানায়, গত রোববার সকালে জি কে শামীমের হিসাব থেকে টাকা উত্তোলনের জন্য বড় অংকের কয়েকটি চেক ব্যাংকে জমা পড়ে। এরপর ব্যাংকগুলো থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে যোগাযোগ করে পরামর্শ চাওয়া হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক ওই দিন দুপুরের মধ্যেই নির্দেশনা জারি করে।

এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়, জি কে শামীম, তার স্ত্রী ও মা-বাবার নামে থাকা সব ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করতে হবে। এ সংক্রান্ত সব তথ্য একদিনের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংককে জানাতে বলা হয়।

জানা গেছে, জি কে শামীম ও তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কর ফাঁকি দিচ্ছে কি না তার সন্ধানে নেমেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)। ইতিমধ্যে কর সার্কেল থেকে আয়কর নথি অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইসিতে তলব করা হয়েছে।

এনবিআর সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশনা পাওয়ার পর জি কে শামীমের কর ফাঁকির অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। আয়কর রিটার্নে ঘোষিত সম্পদ বিবরণীর সঙ্গে প্রকৃত সম্পদের গরমিল রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ছাড়া তার লাইফস্টাইলের সঙ্গে প্রকৃত জীবনযাপনে অসঙ্গতি রয়েছে। কর ফাঁকি দিতেই তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে রিটার্নে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *