ঢাকা: চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে আগস্ট মাসের ৩১ তারিখ পর্যন্ত সারাদেশে বজ্রপাতে ২৪৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এ সাত মাসে একই ঘটনায় আহত হয়েছেন ৯৭ জন। নিহতদের মধ্যে ৩০ জন নারী, ৬ জন শিশু, ৮ জন কিশোর-কিশোরী রয়েছে। বাকি ২০২ জনই পুরুষ।
দেশের জাতীয় এবং আঞ্চলিক দৈনিক পত্রিকা, অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও টেলিভিশন স্ক্রল থেকে নেয়া সংবাদের ভিত্তিতে এ তথ্য দিয়েছে সেচ্ছাসেবী সংগঠন সেভ দ্য সোসাইটি এন্ড থান্ডারস্টর্ম অ্যাওয়ারনেস ফোরাম (এসএসটিএফ)।
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের রিচার্জফুল পল্টন সিটি টাওয়ারে নিজস্ব কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করে উদ্বেগ প্রকাশ করে সংগঠনটি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসএসটিএফ’র সাধারণ সম্পাদক মো. রাশিম মোল্লা বলেন, ফেব্রুয়ারি মাসে বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন ১১ জন। এর মধ্যে ১০ জন পুরুষ এবং ১ জন নারী। এ মাসে মাসে আহত হয়েছেন ৮ জন। মার্চ মাসে নিহতের সংখ্যা ৫ জন। এর মধ্যে ৩ জন পরুষ ও ২ জন শিশু। এ মাসে আহত হয়েছেন আরও ৩ জন।
এপ্রিল মাসে বজ্রপাতে নিহতের সংখ্যা ২০ জন। এর মধ্যে ১৭ জন পুরুষ, ২ জন নারী ও ১ জন কিশোর। এ মাসে আহত হয়েছেন ৮ জন। এছাড়া মে মাসে ৬০ জন, জুন মাসে ৬৬ জন, জুলাই মাসে ৪৭ জন, আগস্ট মাসে বজ্রপাতে ৩৭ জন নিহত হয়েছেন।
রাশিম মোল্লা জানান, বজ্রপাতে এ বছর সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে সাতক্ষীরা জেলায়। এ জেলায় চলতি বছরে ২২ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া, কিশোরগঞ্জ, পাবনা, সুনামগঞ্জ, কক্সবাজার, রাজশাহী, চাপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, টাঙ্গাইল জেলায় বজ্রপাতে বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
ধান কাটার সময় বজ্রপাতে সবচেয়ে বেশি নিহতের ঘটনা ঘটেছে। এরপর বেশি নিহত হয়েছে বৃষ্টি ও বজ্রপাতের সময় মাছ ধরতে গিয়ে। এছাড়া পর্যায়ক্রমে মাঠে গরু আনতে গিয়ে এবং টিন ও খড়ের ঘরে অবস্থান ও ঘুমোনোর সময় বজ্রাঘাতে বেশি মানুষ মারা গেছে। একই সঙ্গে বৃষ্টি ও বজ্রপাতের সময় অজ্ঞতাবশত: লম্বা গাছের নিচে আশ্রয় নেয়ার সময় গাছে বজ্রপাত হওয়ায় মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে।
সংগঠনের নির্বাহী সদস্য মাসুদ রানার সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদন পাঠ করেন, সংগঠনের সেক্রেটারি রাশিম মোল্লা। বক্তব্য রাখেন, গবেষণা সেল প্রধান আবদুল আলীম। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের সহ সভাপতি সোহেল রানা, তিতুমীর কলেজ ইউনিট সদস্য হাসনাইন আহমেদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কলেজের সদস্য জুবাইর হুসাইন প্রমুখ।