ইউনূস-রুবিও’র ফোনালাপে বাংলাদেশে শিগগিরই নির্বাচন করার কথা এসেছে

Slider জাতীয়


সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। সেই ফোনালাপে শিগগিরই বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা এসেছে।

ইউনূস-রুবিও’র ফোনালাপ নিয়ে বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

তৌহিদ হোসেন জানান, তারা খুব চমৎকার পরিবেশে কথা বলেছে। তখন আমি সামনে বসা ছিলাম। সেখানে সংস্কার কার্যক্রমে তাদের সমর্থনের কথা বলেছে এবং কথায় উঠে এসেছে যথা শিগগিরই সম্ভব নির্বাচন করা হোক।

শিগগিরই নির্বাচন করার বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন কিনা, প্রশ্ন রাখা হয় উপদেষ্টার কাছে। জবাবে তিনি বিষয়টি স্পষ্ট করেননি। তিনি বলেন, দু’পক্ষের কথা হচ্ছিল আন্তরিক পরিবেশে। তার মধ্যে এ কথাগুলো উঠে এসেছে। নির্বাচন সম্পর্কে তারা জানতে চেয়েছে এবং সংস্কার কার্যক্রমের ব্যাপারে সমর্থনের কথা বলেছে। তখন তাদের জানানো হয়েছে, যথা শিগগিরই সম্ভব নির্বাচন করা হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আলোচনা নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, আজকে ওয়াশিংটনে বৈঠক হবে। বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখানে গেছেন। আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা সেখানে আছেন। কাজেই আমরা আশা করব যে একটি সমাধানে আমরা দুপক্ষ পৌঁছাতে পারব এবং বাণিজ্যে তেমন প্রভাব পড়বে না।

মানবিক করিডর নিয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা— জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, না, এ ধরণের কোনো কথা হয়নি।

গত সোমবার ইউনূস-রুবিও ফোনালাপে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক গভীর করতে অভিন্ন অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন। সেই সঙ্গে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বৃদ্ধিতেও অভিন্ন অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

এই ফোনালাপ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, প্রায় ১৫ মিনিটব্যাপী ফোনালাপ ছিল উষ্ণ, সৌহার্দ্যপূর্ণ ও গঠনমূলক, যা দুই দেশের মধ্যকার দৃঢ় দ্বিপক্ষীয় সম্প্রীতির প্রতিফলন। আলোচনার সময় উভয় নেতা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন, যার মধ্যে ছিল বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য আলোচনা, চলমান সংস্কার প্রক্রিয়া, গণতান্ত্রিক উত্তরণের রূপরেখা, আসন্ন সাধারণ নির্বাচন এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য সহায়তা।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও বাংলাদেশের সংস্কার কর্মসূচি এবং আগামী বছরের শুরুতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের উদ্যোগকে সমর্থন জানান। তিনি উল্লেখ করেন যে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি গন্তব্য এবং রেমিট্যান্সের শীর্ষ উৎস। এর পরিপ্রেক্ষিতে উভয় নেতা শিগগিরই শুল্ক বিষয়ে আলোচনা চূড়ান্ত হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন, যা দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের প্রসার ঘটাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *