ডেঙ্গু নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে কথা বলতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আরজি মমতার

Slider জাতীয় ফুলজান বিবির বাংলা

কলকাতা: বর্তমান মওসুমে পশ্চিমবঙ্গে ডেঙ্গুতে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। বেসরকারি হাসপাতালে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজারের বেশি। মূলত উত্তর ২৪ পরগণা, নদীয়া ও আলিপুরদুয়ারেই আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। শুক্রবার রাজ্য বিধানসভায় এই তথ্য জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে সরকার ও বিরোধীদের মতপার্থক্য এদিন আলোচনায় প্রকট হয়েছিল। অবশ্য রাজ্যে ডেঙ্গুর এই প্রাদুর্ভাব নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বাংলাদেশের দিকে ইঙ্গিত করেছেন। শুধু তাই নয়, ডেঙ্গু নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে কথা বলার জন্য ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে আরজিও জানিয়েছেন তিনি। ডেঙ্গুর কারণ সম্পর্কে বাংলাদেশ থেকে অসুস্থ লোকদের যাতায়াতের কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। এর আগেও মুখ্যমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গে ডেঙ্গুর জন্য বাংলাদেশের দিকে ইঙ্গিত করেছিলেন।

গতকাল বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের আবদুল মান্নানের প্রশ্নের উত্তরে মমতা বলেছেন, বাংলাদেশে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের লাগোয়া যশোর ও খুলনাতে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। সেদিকে ইঙ্গিত করে মমতা এদিন বলেছেন, সীমান্তবর্তী উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ, হাবরা, অশোকনগর অঞ্চলে এবং নদীয়ায় ডেঙ্গু দেখা গিয়েছে। তবে এ ব্যাপারে তিনি বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কথা বলবেন কিনা তা জানতে চেয়েছেন সিপিআইএমের সুজন চক্রবর্তী। তখন মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, আমার পক্ষে শেখ হাসিনা সরকারকে বলাটা শোভনীয় নয়। এটা বলা ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণলয়ের কাজ। তিনি আরও বলেছেন, ভারত সরকার কথা বলতেই পারে। আমরা কেন্দ্রীয় সরকারকে অ্যাডভাইজরি পাঠাতে পারি। তবে আমি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করব আপনারা ব্যাপারটা দেখুন।

এদিকে, ডেঙ্গুর সংক্রমণ নিয়ে মমতা বলেছেন, সরকারি রিপোর্টে বলা হয়েছে, আগে এডিস ইজিপ্টাই ছিল। এখন এডিস আরবোপিকটাসের জন্যও ডেঙ্গু হচ্ছে। তবে সকলে জোটবদ্ধভাবে চেষ্টা করার ফলে রাজ্যে ডেঙ্গু ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া আটকানো সম্ভব হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *