যে কারণে প্রথম দিনেই ‘হ্যাং’ ঢাবির প্লাটিলেট গণনা যন্ত্র!

Slider বিচিত্র

সারাদেশের মতো ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসেও। এই রোগে আক্রান্ত হয়ে গত শুক্রবার রাতে মারা গেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থী ফিরোজ কবির স্বাধীন।

এমন অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে আনা হয়েছে রক্তের প্লাটিলেট গণনার যন্ত্র। কিন্তু শিক্ষার্থীদের চাপে প্রথম দিনেই ‘হ্যাং’ করেছে যন্ত্রটি।

ফলে প্লাটিলেট গণনায় বিঘ্ন ঘটেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাকেন্দ্রের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. সারওয়ার জাহান মুত্তাকী গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, রোববার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে প্লাটিলেট গণনা কার্যক্রম শুরু হয়। সকাল থেকে অন্তত ২শ শিক্ষার্থী এই সেবা নিয়েছেন।

সেবাপ্রত্যাশী শিক্ষার্থীদের চাপে বিকেল ৫টার দিকে প্লাটিলেট গণনার যন্ত্রটি হ্যাং হয়ে যায়।
তবে, বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের টেকনিক্যাল অফিসার বেলাল হোসেন সরদার জানান, মেশিনটা আসলে হ্যাং হয়নি। কিছু সময় পরপর এটাকে বিরতি দিতে হয়। বিরতির সময় আমরা সেটিকে আপডেট করি।

প্রথম দিন ১৯৬ জন শিক্ষার্থীর প্লাটিলেট গণনা করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের বেশিরভাগের রক্তে প্লাটিলেটের সংখ্যা স্বাভাবিক রয়েছে।

১৫ জনের মতো শিক্ষার্থীর প্লাটিলেট কিছুটা কম পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, প্লাটিলেট গণনার যে যন্ত্রটি বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে স্থাপন করা হয়েছে, তার মাধ্যমে ডেঙ্গু শনাক্ত করা সম্ভব নয়। এ যন্ত্রের মাধ্যমে শুধু রক্তের প্লাটিলেট সেল (অণুচক্রিকা) গণনা করা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *