আলমডাঙ্গায় মহা শ্মশ্বানে হনুমানের সাড়ম্বরে সৎকার

Slider বিচিত্র

ডেস্ক: গতকাল ২৪ মে ভোর ৬টার দিকে আলমডাঙ্গা শহরের সত্য নারায়ন মন্দিরের সামনে রাস্তা পারাপারের সময় একটি হনুমান বিদ্যূতায়িত হয়ে মারা যায়। এ ঘটনার কয়েক ঘন্টা পরে আলমডাঙ্গা দাহ কমিটি বেশ ঘটা করে হনুমানটির সৎকারের ব্যবস্থা করে। মৃত হনুমানটির প্রতি সন্মান জানিয়ে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে। সকাল ৯টার দিকে পুষ্প শোভিত খাটিয়ায় করে মৃত হনুমানটিকে নেওয়া হয় বক্সীপুরস্থ মরানদীর উপর অবস্থিত মহা শ্মশ্বানে।

সে সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন – দাহ কমিটির সভাপতি মুক্তি অধিকারী, সাধারণ সম্পাদক মদন সাহা, গোপেন আচার্য্য, পলাশ আচার্য্য, তাপস কুমার, উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিত কুমার সাধুখাঁ, রূপঙ্কর, গণেশ, অর্পণ, উৎপল, অভিমান্য কুন্ডু, কুটি ঘোষ প্রমুখ।

হনুমানকে সনাতন ধর্মালম্বীরা শ্রদ্ধা দেখিয়ে হনুমানজী সম্বোধন করেন। হনুমানজী হলেন রাম ভক্ত। হিন্দু পুরাণ মতে, মহাদেবের অবতার। পিতার নাম কেশরী। মায়ের নাম অঞ্জনা দেবী। অঞ্জনা দেবী পূর্ব জন্মে স্বর্গের অপ্সরা ছিলেন। হনুমানজীর চঞ্চল স্বভাবের জন্য ঋষি দুর্বাসার অভিশাপে পৃথিবীতে বানরকূলে জন্ম নেন। তার পালক পিতা পবন দেবতা।

রাম ভক্ত হিসেবে সীতা উদ্ধারে হনুমানজীর ভূমিকা সর্বাধিক। লঙ্কাপুরীতে রাবণের হাতে বন্ধি অবস্থায় তার লেজে অগ্নিসংযোগ করা হলে তিনি লাফিয়ে লাফিয়ে সমস্ত লঙ্কাপুরীতে সে আগুন ছড়িয়ে দেন। অত:পর লঙ্কাপুরী ভস্মীভূত করে পুনরায় সমুদ্র পাড়ি দেন। লঙ্কাপুরী ভস্মীভূত করার এ কান্ডকে বলা হয় লঙ্কাকাণ্ড।

উল্লেখ্য, খাবারের খোঁজে বের হয়ে আসা দলছুট হয়ে কিছু হনুমান লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। তেমনি দলছুট এ হনুমানটি শেষ পর্যন্ত নির্মমভাবে সভ্যতার বলি হল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *