মাদারীপুরে একরাতে সংযোগ সড়ক নদীগর্ভে, যোগাযোগ বিঘ্নিত

Slider গ্রাম বাংলা

মাদারীপুরে এক রাতের মধ্যে একটি গ্রামীণ সড়কের মাঝামাঝি অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ফলে হঠাৎ করে যোগাযোগ বিঘ্নিত হওয়ায় এলাকার সাধারণ বিপাকে পড়েছে। রাজৈর উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়নের গোয়ালবাথান নামক স্থানে হরিদাসদী-মহেন্দ্রদী ইউনিয়নের সংযোগ সড়কের মাঝামাঝি অংশ রবিবার রাতে কুমার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ফলে ওই এলাকার মানুষের মাঠের ভিতর দিয়ে পায়ে হেঁটে অনেক দূর ঘুরে চলাচল করতে হচ্ছে।

রাজৈরের টেকেরহাট বন্দর থেকে হরিদাসদী-মহেন্দ্রদী ইউনিয়নের একমাত্র সংযোগ সড়কটি হঠাৎ করে নদীগর্ভে বিলীন হওয়ায় যোগাযোগ চরম ভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। সাধারণ পথচারী, শতশত স্কুলগামী শিক্ষার্থী, শিক্ষক, ব্যবসায়ী সকলেই অনেক কষ্ট করে পায়ে হেঁটে কোন রকমে গন্তব্যে যাচ্ছে। যেখানে রাস্তাটি ভেঙ্গেছে, সেখানে মেরামতের কোন উপায় নেই।

ফলে এখানকার মানুষের জন্য এটা স্থায়ী সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, নদীর পাড় দিয়ে রাস্তা হওয়ায় এমনিতেই অনেক ঝুঁকি নিয়ে আমাদের যাওয়া-আসা করতে হয়। তারপর মাঝে মাঝেই বালু দস্যুদের অবৈধ ভাবে রাস্তার পার ঘেঁষে কুমার নদী থেকে বালু উত্তোলনের কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও আশেপাশে নদী শাসনের ব্যবস্থা থাকলেও এখানে তা না থাকায় রাস্তাটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

হরিদাসদী-মহেন্দ্রদী বিদ্যালয়ের শিক্ষক রমেন্দ্রনাথ মজুমদার জানান, রাস্তাটি ভেঙ্গে যাওয়ায় অনেক কষ্ট করে আমাদের স্কুলে যেতে হচ্ছে। আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরাও অনেক কষ্টে স্কুলে আসছে। এই রাস্তাটি দ্রুত মেরামত করা না হলে এলাকার ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে আসা বন্ধ করে দেবে। ফলে তাদের লেখাপড়ার ক্ষতি হবে।

হরিদাসদী-মহেন্দ্রদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম মাতুব্বর বলেন, ‘মূল রাস্তাটি ২০১৮ সালের প্রথম দিকে ভেঙ্গে কুমার নদীতে চলে যায়। অনেক চেষ্টা করে পাশ দিয়ে মাটি কেটে কোনরকমে মানুষের যাতায়াতের ব্যবস্থা করেছিলাম। কিন্তু সেটাও নদীতে চলে গেছে। এর একটা স্থায়ী ব্যবস্থা করা দরকার। ’

মাদারীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী পার্থপ্রতিম সাহা বলেন, ‘এমপি মহোদয়ের ডিও লেটার পেলে প্রকল্প পাস করিয়ে আমরা স্থায়ীভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। ’

রাজৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহানা নাসরিন বলেন,‘স্থায়ীভাবে আমাদের কিছু করার নেই। মানুষ যাতে যাতায়াত করতে পারে সে ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। ’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *